প্রতিবাদ: তালা আটকানো হচ্ছে পঞ্চায়েতের গেটে। ছবি: সুদীপ ঘোষ
নিকাশি নালা আটকে নির্মাণের অভিযোগে শুক্রবার দেগঙ্গার নূরনগর পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় কিছু মানুষ। পঞ্চায়েত দফতরে চড়াও হয়ে কর্মীদের বের করে তালা ঝুলিয়ে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, টাকি রোডের কালিয়ানিতে জমি কিনে ভবন তৈরি করছে একটি বেসরকারি সংস্থা। অভিযোগ, রাস্তার পাশের নর্দমা দখল করে নির্মাণ কাজ চলছে। বাসিন্দারা জানান, এই এলাকার জল কালিয়ানি বিল ও নর্দমা দিয়ে বিদ্যাধরী নদীতে যায়। নির্মাণের জেরে নিকাশি ব্যবস্থা আটকে গেলে বিশ্বনাথপু্র, রামনাথপুর, কার্তিকপুর, খেজুরডাঙা, গাম্ভিরগাছি, ব্যানাপুর-সহ বিভিন্ন গ্রাম বর্ষায় জলমগ্ন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
অভিযোগ, পঞ্চায়েতের মদতেই সরকারি জমি দখল করে চলছে নির্মাণ। তার জেরেই এ দিন পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভকারী মনিরুজ্জমান বলেন, “নর্দমা আটকে যাচ্ছে, তা আমরা পঞ্চায়েতকে জানিয়েছিলাম। পঞ্চায়েত থেকে বলা হয়েছিল, কাজ বন্ধ থাকবে। অথচ পঞ্চায়েতের অনুমতি নিয়েই কাজ চলছে। সে কারণেই এ দিন ৭-৮টা গ্ৰামের বাসিন্দারা কর্মীদের বাইরে বের করে পঞ্চায়েতে তালা মেরে দিয়েছেন।” আর এক বিক্ষোভকারী নূর হোসেন বিশ্বাস বলেন, “এ ভাবে নির্মাণ হলে স্কুল, ঘরবাড়ি সব ডুবে যাবে। চাষের ক্ষতি হবে। প্রধান ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা নিয়ে এই কাজ করাচ্ছেন।”
পঞ্চায়েত প্রধান উমারানি দাসের অবশ্য দাবি, সিপিএম-আইএসএফের লোকজনই পঞ্চায়েতে চড়াও হয়। তিনি বলেন, “এলাকায় ক্ষুদ্র শিল্প হোক, সেটা চাইছে না বিরোধীরা। গ্রামবাসীদের ক্ষেপিয়ে দিচ্ছে। আজ পঞ্চায়েতে ঢুকে কর্মীদের উপরে চড়াও হয় আইএসএফ ও সিপিএমের ছেলেরা। দুই কর্মীকে মারধর করে বের করে দেয়। তালা মারে পঞ্চায়েতের দরজায়।” তিনি আরও বলেন, “ইতিমধ্যে গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। নর্দমা আটকানো হচ্ছে না। সরকারি জমি দখলের বিষয়টিও ঠিক নয়। আগামী সপ্তাহে ফের বৈঠক করার কথা ছিল। তার আগেই ওরা পঞ্চায়েতে ঢুকে হুজ্জুত করল।”
স্থানীয় সিপিএম ও আইএসএফ নেতৃত্ব অবশ্য প্রধানের অভিযোগ মানেননি।