চলছে আইসিডিএস কেন্দ্রের রান্না। — নিজস্ব চিত্র।
ভাঙা গোয়ালঘরের এক কোণে চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। এই ছবি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর ব্লকের রুদ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের। সেখানকার ৩২৪ নম্বর আইসিডিএস কেন্দ্রটি গত ১২ বছর ধরে চলছে স্থানীয় এক বাসিন্দার গোয়ালঘরে। এই অভিযোগ পেয়ে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
সাগরদ্বীপের মূল প্রাণকেন্দ্র রুদ্রনগরের ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটিতে বর্তমানে ২৬ জন পড়ুয়া রয়েছেন। এ ছাড়া আট জন অন্তঃসত্ত্বা খাবার সংগ্রহ করেন ওই আইসিডিএস থেকে। ওই আইসিডিএস কেন্দ্রটির শিক্ষিকা শ্যামলী মণ্ডল বলেন, ‘‘এখানে বিডিওর দফতর, গ্রাম পঞ্চায়েত, বিএলআরও-সহ একাধিক দফতর রয়েছে। কিন্তু এ সবের মাঝে বেমানান শুধু আইসিডিএস কেন্দ্রটি।’’ পলাশ মাইতি নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার গোয়ালঘরের বারান্দায় চলে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। সম্প্রতি ঝড়ে সেই গোয়ালঘরও ভেঙে পড়েছে। ভাঙা ঘরের কোণে কোনওক্রমে চলে শিশুদের পঠনপাঠন, এমনটাই দাবি শ্যামলীর। তাঁর অভিযোগ, এ নিয়ে বার বার দরবার করা হলেও সাহায্য পাওয়া যায়নি।
শ্যামলীর আরও অভিযোগ, এই কেন্দ্রে স্থায়ী কোনও রাঁধুনি নেই। অস্থায়ী কর্মীকে দিয়ে রান্নার কাজ চলছে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির পরিচালন সমিতির সদস্য আরতি মাইতি ক্ষোভের সুরে বলেন, ‘‘গোয়ালঘরেই কি আইসিডিএসের রান্না হবে! বাচ্চারা খাবে, না পড়বে? কত দিন এমন চলবে? স্থানীয় বাসিন্দারাও এই কেন্দ্রটি স্থায়ী ভাবে করার দাবি তুলেছেন।’’
এ নিয়ে সাগরের চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট অফিসার অশোক দাস বলেন, ‘‘অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি একটি বাড়িতে চলছে জানি। বিষয়টি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।’’