সুন্দরবনে বেহাল নদীবাঁধ। —নিজস্ব চিত্র
পূর্ণিমার ভরা কটালে নদী এবং সমুদ্রের জল বেড়েছে। অন্য দিকে, নিম্নচাপের জেরে রবিবার থেকেই দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায়। এই পরিস্থিতিতে ফের বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা করছেন সুন্দরবনের বাসিন্দাদের একাংশ। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আপৎকালীন ভিত্তিতে নদীবাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। তা সত্ত্বেও পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না নদী তীরবর্তী কিংবা সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় থাকা বাসিন্দারা।
রবিবার রাত থেকেই নদী এবং সমুদ্রে জল বাড়তে শুরু করেছে। সাগর, পাথরপ্রতিমা, নামখানা এবং কাকদ্বীপ এলাকায় বহু নদীর বাঁধ বেহাল অবস্থায় রয়েছে। স্বাভাবিকের তুলনায় নদীর জল বেশি উচ্চতায় বইতে থাকলে বিপদ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা তাই বেহাল নদীবাঁধের উপর নজর রেখেছেন। পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকার কথা বলা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা চঞ্চল মণ্ডল এই প্রসঙ্গে বলেন, “আতঙ্কে আছি। কারণ, এখন যে বাঁধ আছে, তাতে জল আটকাবে না। রাতে না ঘুমিয়ে জল বাড়ল কি না, সে দিকে খেয়াল রাখতে হচ্ছে।” আর এক বাসিন্দা রাজু ভান্ডারি বলেন, “মাস দুয়েক আগে বাঁধ তৈরি হলেও দুর্যোগে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই নতুন করে জল ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে।” তাঁর সংযোজন, “একমাত্র কংক্রিটের রাস্তা ছাড়া জল আটকানোর অন্য কোনও উপায় নেই।”