সেই পার্চি অফিসের বাড়িটি। নিজস্ব চিত্র
মালদার মানিকচকের পর আরএসপি-র পার্টি অফিস জালিয়াতি করে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মালতীপুরের প্রাক্তন বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সির বিরুদ্ধে। চাঁচোলের কাশীপাড়ায় আরএসপি-র পার্টি অফিস ছিল। সেটিই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিয়োগ। এই ঘটনায় চাঁচোল থানায় দলের তরফ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আরএসপি-র জেলা সম্পাদক সর্বানন্দ পান্ডে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘মালতীপুর বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সি অবৈধভাবে তাঁর স্ত্রীর কাছে কাশীপাড়ার পার্টি অফিস বিক্রি করে দিয়েছেন।’’
রহিম বক্সি দীর্ঘদিন ধরেই আরএসপি দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মালতীপুরে আরএসপি-র টিকিটে জিতে তিনি বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। আরএসপি-র অভিযোগ, দলত্যাগ করার পরে আরএসপি-র দলীয় কার্যালয় নিয়ে জালিয়াতি করেছেন প্রাক্তন বিধায়ক। পার্টি অফিস নিজের স্ত্রীর কাছে 'বিক্রি' করেছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রাক্তন বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সি বলেন, ‘‘জমিটি আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তি। এই ধরনের অভিযোগ তুলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমাকে কলুষিত করার জন্য চক্রান্ত করা হচ্ছে। এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। আমি যা করেছি, তা নিয়মমাফিক করেছি। কোনও অবৈধ কাজ হয়নি। ওই জমি ও পার্টি অফিস আমার নামে ছিল। বেআইনি কাজ হয়েছে বলে প্রমাণ করতে পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।"
আরও পড়ুন: আদালতের নির্দেশ অমান্যের চেষ্টা, ছটপুজো করতে চেয়ে বিক্ষোভ রবীন্দ্র সরোবরে
আরএসপি-র মালদহ জেলা সম্পাদক সর্বানন্দ পান্ডে বলেন, "আরএসপি-র নামে রেজিস্ট্রি করা পার্টি অফিস অবৈধভাবে যে কেউ বিক্রি করতে পারেন না। যিনি দলের সম্পাদকের পদে থাকেন, তখন পার্টি অফিসের মালিকানা তাঁর অধীন থাকে। সেই নেতা দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে সেই অফিসের উপর তাঁর কোনও অধিকার থাকে না। রহিম বক্সি অবৈধভাবে মিটিং ডেকে স্ত্রী আয়েষা খাতুনের নামে ওই পার্টি অফিসটির বিক্রিনামা দলিল বানিয়েছেন। এটা বেআইনি কাজ। আমরা থানায় এফআইআর দায়ের করেছি।" চাঁচোল থানার আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, "দলীয় কার্যালয় বিক্রি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ আরএসপি’র তরফে আমাদের কাছে এসেছে। অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে পদক্ষেপ করা হবে।"
আরও পড়ুন: ৩ মাসেই দেশে মিলবে অক্সফোর্ড টিকা, ১ হাজার টাকার মধ্যে