জমায়েত: ডায়মন্ড হারবারে পুরনো কেল্লা এলাকায় পিকনিক করতে এলেন অনেকে। ছবি: দিলীপ নস্কর
করোনা পরিস্থিতিতে গত দু’বছর বর্ষবরণের আনন্দ ফিকে হয়ে গিয়েছিল অনেকটাই। এবার অবশ্য তা সুদে-আসলে উসুল করে নিল মানুষ। রবিবার, নতুন বছরের প্রথম দিন ভিড়ে ছয়লাপ টাকি, ঝড়খালি।
সম্প্রতি চিনে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। এ দেশেও জারি হয়েছে সতর্কতা। মাস্ক-সহ বিভিন্ন বিধি মানার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। এ দিন ভিড়ে অবশ্য কোথাও চোখে পড়েনি সচেতনতার ছবি।
উত্তর ২৪ পরগনায় ইছামতীর তীরে টাকিতে এ দিন কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়। সকাল থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে। পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন প্রায় ৭০০টি ছোট গাড়ি ও ৭০টি বাসে পর্যটকেরা টাকিতে এসেছিলেন। হোটেল, হোম-স্টেগুলি কার্যত ভর্তি ছিল। পর্যটকদের নদীতে ঘোরার জন্য প্রায় ৩০টি নৌকো এবং বোট ছিল। নৌকায় ওঠার জন্য লম্বা লাইন চোখে পড়েছে।
টাকির এক রেস্তরাঁ মালিক সুনীল দাস বলেন, “গত দু’বছরের তুলনায় এবার বিক্রি ভাল হয়েছে।” টাকি ট্যুরিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে প্রদ্যুৎ দাস বলেন, “হোটেলগুলিতে তিলধারণের জায়গা নেই। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে টাকির বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ন হয়েছে। ফলে পর্যটকদের কাছে টাকি আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।”
এ দিন অবশ্য টাকির পিকনিক স্পটগুলির বেশ কয়েকটি ফাঁকা ছিল। প্রদ্যুৎ জানান, ডিজে বক্স বাজানোর বিষয়ে কড়াকড়ির জেরেই সম্ভবত পিকনিকের দল কম এসেছে।
টালিগঞ্জ থেকে টাকিতে এসেছিলেন ভরত দেবনাথ, শ্যামল কুণ্ডু, প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়েরা। তাঁরা জানালেন, আগেও টাকিতে এসেছেন। কিন্তু এবার টাকির পাল্টে যাওয়া মনে ধরেছে তাঁদের।
পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “পর্যটকদের কাছে টাকির আকর্ষণ বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শৌচালয় এবং পানীয় জলেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
টাকি ছাড়াও দুই জেলার সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশে পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঝড়খালি, সজনেখালি, পাখিরালয়ে প্রচুর মানুষ আসেন। ডায়মন্ড হারবারে হুগলি নদীর তীরে মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। ফলতা, রায়চকেও নদীর পাড়ে বহু মানুষ ভিড় করেছেন বনভোজন সারতে।