আলোচনা: বৈঠকে আধিকারিকেরা। নিজস্ব চিত্র।
বকখালি, মৌসুনি দ্বীপের মতো জায়গাকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে উদ্যোগী হল প্রশাসন। গঙ্গাসাগরকেও সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সম্প্রতি গঙ্গাসাগর-বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের (জিবিডিএ) বৈঠকে পর্যটন কেন্দ্রগুলির উন্নতিতে একগুচ্ছ পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জিবিডিএ সূত্রের খবর, বকখালির সমুদ্রসৈকতে খালের উপরে একটি অস্থায়ী ভাসমান জেটি তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। গত কয়েক বছরে বকখালির সমুদ্রসৈকতে একটি খাল তৈরি হয়ে গিয়েছে। ভাটার সময়ে পর্যটকেরা অনায়াসে সেই খাল পেরিয়ে সমুদ্রে নামতেন। কিন্তু জোয়ারের সময়ে ওই খাল পার করে ফিরতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়তেন বহু পর্যটক। জোয়ারের সময়ে খালে পড়ে মৃত্যুও ঘটেছে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য বকখালি সমুদ্রসৈকতে একটি ভাসমান অস্থায়ী জেটি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ। পর্ষদ সূত্রের খবর, আপাতত খালের উপরে বসানো হবে একটি ভাসমান অস্থায়ী জেটি। ভাটার সময়ে খাল পেরিয়ে যে সমস্ত পর্যটক সমুদ্রে নামবেন, জোয়ার এলে তাঁরা ওই ভাসমান জেটি দিয়ে নিরাপদে ফিরে আসতে পারবেন। শীঘ্রই এই জেটি তৈরির কাজ শুরু করা হবে জানিয়েছে পর্যদ।
এ ছাড়া, অ্যাকোরিয়াম, সি-ভিউ গ্যালারি, ফুড কোর্ট ইত্যাদিও গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে পর্ষদের। বকখালিতে ঢোকার মুখে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে একটি গেট বানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। বকখালিতে আধুনিক নিকাশি ব্যবস্থাও তৈরি করা হবে বলেও পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছে। গত কয়েক বছরে জেলার পর্যটন মানচিত্রে উঠে এসেছে মৌসুনি দ্বীপ। প্রচুর পর্যটক ভিড় করছেন এখানে। পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে ওই এলাকায় ঢালাই রাস্তা, পথবাতির ব্যবস্থা হচ্ছে। এ ছাড়া, থাকার ব্যবস্থা করা হবে। গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির মন্দির চত্বরকে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাশাপাশি, মন্দিরের সামনে সমুদ্রসৈকতের ভাঙন রুখতেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য কাকদ্বীপের লট-৮ ভেসেল ঘাটের কাছে গড়ে তোলা হবে স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড। এ ছাড়াও, একটি বড় সার্কিট হাউস তৈরি করা হবে। নামখানার ১০ মাইল ও সাগরের রুদ্রনগরে তৈরি করা হবে আধুনিক মার্কেট কমপ্লেক্স। যেখানে বেকার যুবক-যুবতীরা বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করে স্বনির্ভর হতে পারবেন। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, “দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন এবং জিবিডিএ-র এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আগামী দিনে বকখালি ও সাগর আরও উন্নত ও আধুনিক হয়ে উঠবে।”