কাদায় বসে যাচ্ছে বুট

কন্যাশ্রী দিবস উপলক্ষে শুক্রবার মহিলা ফুটবলের আয়োজন করা হয়েছিল হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের দুলদুলি মঠবাড়ি ডিএন হাইস্কুল মাঠে। মূলত আদিবাসী মহিলাদের নিয়ে প্রতিযোগিতা। দেখা গেল, জল-কাদায় ভরা মাঠে বল নিয়ে ছুটতে গিয়ে ঘন ঘন আছড়ে পড়ছে মেয়েরা। মাঝে মধ্যেই কাদায় বুট বসে যাচ্ছে, খুলে যাচ্ছে। গতির খেলা ভুগছে গতিহীনতা।

Advertisement

নির্মল বসু

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৭ ০১:১৪
Share:

কর্দমাক্ত: এই মাঠেই সেরা পারফর্ম্যান্সের চেষ্টা। নিজস্ব চিত্র

কন্যাশ্রী থেকে সবুজ সাথী কত রকম প্রকল্পে কত সাহায্য নিয়ে পড়ুয়াদের পাশে থাকছে রাজ্য সরকার। বই, ইউনিফর্ম, জুতো, ব্যাগ দিচ্ছে। সুন্দরবন কাপ ফুটবলে মহিলারা যোগ দিতে পারছে। অথচ, ফুটবল খেলার মাঠ নিয়ে উদাসীন প্রশাসন। কাদায় গোড়ালি ডুবে যাওয়া যে হতশ্রী মাঠে খেলতে হচ্ছে মেয়েদের, তা চাষের মাঠ বললেও অত্যুক্তি হয় না।

Advertisement

কন্যাশ্রী দিবস উপলক্ষে শুক্রবার মহিলা ফুটবলের আয়োজন করা হয়েছিল হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের দুলদুলি মঠবাড়ি ডিএন হাইস্কুল মাঠে। মূলত আদিবাসী মহিলাদের নিয়ে প্রতিযোগিতা। দেখা গেল, জল-কাদায় ভরা মাঠে বল নিয়ে ছুটতে গিয়ে ঘন ঘন আছড়ে পড়ছে মেয়েরা। মাঝে মধ্যেই কাদায় বুট বসে যাচ্ছে, খুলে যাচ্ছে। গতির খেলা ভুগছে গতিহীনতা।

হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের গোবিন্দকাটি, যোগেশগঞ্জ, দুলদুলি, বাঁকড়া, থানা এবং হিঙ্গলগঞ্জ হাইস্কুলের মাঠের অবস্থা ইদানীং প্রায় একই রকম। টানা বৃষ্টির ফলে মাঠ দেখলে মনে হয়, খানিক আগেও সেখানে গরু চরছিল!

Advertisement

দুলদুলি মঠবাড়ি ডিএন হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ভূপেন্দ্রমোহন নাথ বলেন, ‘‘ছেলে-মেয়েদের মধ্যে প্রতিভার অভাব নেই। অভাব উপযুক্ত পরিকাঠামোর।’’ মহিলা ফুটবল খেলা দেখতে শুক্রবার মাঠে এসেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল। আবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনে বিধায়ক কোটার টাকায় মাঠ গড়তে তিনি রাজি বলে জানান দেবেশবাবু।

শুক্রবার প্রতিযোগিতায় ভাল খেলার জন্য পুরস্কৃত হন সোমা মণ্ডল এবং সুপর্ণা সর্দার। তাঁরা বলেন, ‘‘বল নিয়ে প্রতিপক্ষের গোলপোস্টের দিকে ছুটব, নাকি কাদায় আটকে যাওয়া বুট পরিষ্কার করব? দেখলেন তো, কয়েকবার কাদায় আটকে বুটই খুলে গেল।’’ কয়েক মাস আগে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক আধিকারিকের উদ্যোগে এলাকার আদিবাসী মহিলাদের খেলাধূলার আগ্রহ বাড়াতে ফুটবল এবং জার্সি দেওয়া হয়েছিল। সে কথা জানিয়ে বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘মাঠের অবস্থা ভাল ছিল না বলে মেয়েরা তাঁদের সেরাটা দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে পারেননি। ব্লকে ৫-৬টি খেলার মাঠ আছে। একটিকে বেছে নিয়ে স্টেডিয়াম ও জিম করার পরিকল্পনা সরকারের কাছে পাঠানোর কথা হয়েছে।’’ সেখানে ফুটবলারেরা উপযুক্ত পরিবেশে খেলার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন বিডিও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement