Crime

ফাঁসানো হয়েছে, দাবি ধৃত পুলিশ অফিসারের

মামলা নিয়ে নানা ধোঁয়াশা দানা বেঁধেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বসিরহাট শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২০ ০২:৪৭
Share:

আদালতের-পথে: হাড়োয়ায়। ছবি: নির্মল বসু

হাড়োয়ায় ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার মামলায় ধৃত এএসআই জাহাঙ্গির আলমকে রবিবার বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তের আইনজীবী অরিন্দম গোলদার বলেন, ‘‘সব শুনে বিচারক এই মামলা সোমবার এডিজেএ-র স্পেশ্যাল আদালতে উঠবে বলে জানান। ততক্ষণ অভিযুক্তকে বসিরহাট সংশোধনাগারে রাখা হবে।’’

Advertisement

তবে মামলা নিয়ে নানা ধোঁয়াশা দানা বেঁধেছে। ঘটনার পরে জাহাঙ্গির দাবি করেছিলেন, তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। রবিবার আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘ওই স্কুলে ডিউটি থেকে থানায় ফেরার সময়ে স্থানীয় এক নেতা ফোনে জানান, গন্ডগোল বেধেছে। তাই শুনে ফিরে আসি। স্কুলের দু’টি মেয়েকে কাজে লাগিয়ে আমাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।’’ জাহাঙ্গিরের স্ত্রী আসিফা বলেন, ‘‘কয়েক দিন ধরে হুমকি দিয়ে আমার স্বামীর মোবাইলে বার বার ফোন করা হচ্ছিল।’’ তাঁর দাবি, হাড়োয়ার এক যুব নেতার বিরুদ্ধে সম্প্রতি একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলায় তদন্তকারী অফিসার জাহাঙ্গির। অভিযোগকারীকে দিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য জাহাঙ্গিরকে ফোনে বলা হচ্ছিল বলে দাবি আসিফার। তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হল বলে মন্তব্য করেন আসিফা। তবে মামলাটি ঠিক কী, কোন নেতার বিরুদ্ধে মামলা, সে সব স্পষ্ট ভাবে কিছু জানাননি জাহাঙ্গির বা তাঁর স্ত্রী। ওই নেতা কোন দলের, তা নিয়েও মুখ খোলেননি।

এ দিকে, যে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছিল বলে জাহাঙ্গিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তার বাবার করা লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন বিকেল ৪টে নাগাদ ওই ছাত্রীকে স্কুলের মধ্যে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। পুলিশকর্তাদের একাংশের প্রশ্ন, ‘‘ওই দিন বিকেলে স্কুলের মাঠে বহু মানুষ ভিড় করেছিলেন অনুষ্ঠান দেখার জন্য। তা হলে কী ভাবে ওই মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা সম্ভব?’’ গোটা বিষয়ে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে পুলিশও। তাদের দাবি, অভিযুক্তের কথা খতিয়ে দেখতে তার মোবাইল ফোনের কললিস্ট দেখা হবে। যে যুবনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, তাঁর মোবাইলও পরীক্ষা করে দেখা হবে।

Advertisement

শুক্রবার হাড়োয়ার বাছড়া হরিণহুলোর একটি স্কুলে অনুষ্ঠান হচ্ছিল। অভিযোগ, ওই দিন বিকেলে চাকরির লোভ দেখিয়ে ফাঁকা ক্লাস ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন জাহাঙ্গির। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ বাধে। জখম হন কয়েক জন পুলিশ ও গ্রামবাসী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement