মৃত প্রেমিকা, আত্মঘাতী প্রেমিকও

সোমবার দুপুরে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ক্যানিং-তালদি স্টেশনের মাঝখান থেকে সত্যজিৎ মণ্ডল (১৭) নামে ছেলেটির দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছে ওই কিশোর। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, জয়শ্রী মিস্ত্রি নামে বছর ষোলোর এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেম ছিল সত্যজিতের। বাড়ি থেকে তা মেনে নেয়নি। বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ে দু’জনেই। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

ক্যানিং শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৯ ০২:১৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

প্রেমিকার মৃত্যুর খবর শুনে আত্মঘাতী হল প্রেমিকও।

Advertisement

সোমবার দুপুরে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ক্যানিং-তালদি স্টেশনের মাঝখান থেকে সত্যজিৎ মণ্ডল (১৭) নামে ছেলেটির দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছে ওই কিশোর। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, জয়শ্রী মিস্ত্রি নামে বছর ষোলোর এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেম ছিল সত্যজিতের। বাড়ি থেকে তা মেনে নেয়নি। বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ে দু’জনেই।

বুধবার রাতে মারা যায় জয়শ্রী। ক্যানিং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল সত্যজিৎ। সোমবার সকালেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পায় ছেলেটি। জানতে পারে, মারা গিয়েছে প্রেমিকা। বাড়ি না গিয়ে রেললাইনের দিকে এগিয়ে যায় সে। এক প্রত্যক্ষদর্শী রেল পুলিশকে জানিয়েছেন, ট্রেন বার বার হর্ন দিচ্ছিল। কিন্তু লাইনের উপর থেকে সরছিল না ছেলেটি। আশেপাশের অনেকে চিৎকার করে তাকে সাবধান করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কিছুই যেন কানে যাচ্ছিল না তার।’’ শেষ পর্যন্ত ট্রেন ধাক্কা মারে। রেল পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বাড়ির কেউ দেহ শনাক্ত না করায় ‘অজ্ঞাতপরিচয়ের মৃত্যু’ হিসাবেই ঘটনাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।

Advertisement

কেন এলেন না পরিজনেরা?

ক্যানিং থানার পুলিশ সূত্রের খবর, দু’জনে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ার পরে মেয়ের বাড়ির লোক অভিযোগ করে, জয়শ্রীকে বিষ খাইয়েছিল সত্যজিতের পরিবার। ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ বলে দেখানোর জন্য ছেলের মুখেও সামান্য বিষ ঢেলে দেয়। পুলিশ গ্রেফতার করে সত্যজিতের বাবা সমীরকে। পরিবারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সত্যজিতের মা মানসিক ভারসাম্যহীন। এই পরিস্থিতিতে রক্তের সম্পর্কের কেউ দেহ শনাক্ত করার মতো নেই। ছেলেটির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ক্যানিং থানার পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement