প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মৃত্যু হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর সেই তৃণমূল কর্মী আজহার লস্কর (৬২)-এর। শুক্রবার ভোরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
এ কথা জানা গিয়েছে আজহারের পরিবার সূত্রে। সংঘর্ষে জখম হওয়ার পর এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
আজহার বাসন্তীর জ্যোতিষপুর পঞ্চায়েতের রাধারানিপুরের বাসিন্দা। পঞ্চায়েত ভোটের দিন রাধারানিপুরে তৃণমূল এবং আরএসপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেই সংঘর্ষে গুরুতর জখম হন উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন। আজহার-সহ আহতদের প্রথমে বাসন্তী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল এবং পরে কলকাতার এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করানো হয়। সেখানে দীর্ঘ দিন ধরে চিকিৎসার পর বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। কিন্তু দু’দিনের মধ্যেই ফের অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর পর তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শুক্রবার ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর।
আজহারের প্রতিবেশী জামাল সর্দার বলেন, ‘‘ভোটের দিন ওরা স্বামী-স্ত্রী মিলে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এমন সময়ে আরএসপির লোকজন ওকে মারধর করে ফেলে রেখে যায়। তার পর থেকে ও হাসপাতালে ভর্তি ছিল। আজ মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আমরা চাই দুষ্কৃতীদের শাস্তি হোক।’’
এর আগে গত ৯ জুলাই আজহারের মৃত্যু সংবাদের কথা জানিয়েছিলেন বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। পরে অবশ্য ভুল স্বীকার করে নেন তিনি। ভুল তথ্য জানানোর জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন বিধায়ক। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘বাম কর্মী-সমর্থকরা লোহার রড দিয়ে ওকে মারধর করেছিল। ও রক্তাক্ত হয়েছিল। দীর্ঘ এক মাস মৃত্যুর সঙ্গে সে পাঞ্জা লড়েছে। আজ তাঁর মৃত্যু হয়েছে ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ।’’