Hingalganj

Hingalganj: একা শিক্ষক স্কুলে, ক্রমশ কমছে পড়ুয়ার সংখ্যা

স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১০ সালে। প্রাথমিক ভাবে ১০-১৫ জন পড়ুয়াকে নিয়ে শুরু হয় পথ চলা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হিঙ্গলগঞ্জ শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৫৯
Share:

শিক্ষকের অভাবে এই স্কুলে কমছে পড়ুয়া। নিজস্ব চিত্র।

স্থায়ী শিক্ষকের পদ ৫টি। কিন্তু শিক্ষকের সংখ্যা কমতে কমতে একজনে এসে ঠেকেছে।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে কমতে শুরু করছে পড়ুয়ার সংখ্যা। শিক্ষক না থাকায় পড়ুয়ার সংখ্যা আরও কমবে বলে আশঙ্কা। এমনই অবস্থা হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের দুলদুলি পঞ্চায়েতের ভান্ডারখালি দ্বিজবর জুনিয়র হাইস্কুলের।

স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১০ সালে। প্রাথমিক ভাবে ১০-১৫ জন পড়ুয়াকে নিয়ে শুরু হয় পথ চলা। পরে উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে ৪ জন শিক্ষক আসেন। পড়ুয়ার সংখ্যাও বেড়ে ৮২ হয়। ২০১৫ সালে ২ জন শিক্ষক চলে যান। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে আরও একজন শিক্ষিকা চলে যান। বর্তমানে মিঠু ঘোষ নামে একজন শিক্ষিকাই রয়েছেন। পড়ুয়ার সংখ্যা নেমে এসেছে ৬৬ জনে।

Advertisement

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মিঠু জানালেন, স্কুলে একজন অতিথি শিক্ষক রয়েছেন। তবে তাঁর আগামী দু’মাসের মধ্যেই মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষকের সঙ্কট থাকায় বেশিরভাগ অভিভাবকেরা পড়ুয়াদের স্কুল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। আমার আশঙ্কা, পড়ুয়া সংখ্যা এ বার অর্ধেকে নেমে আসবে।’’

সুজিত প্রামাণিকের মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। তিনি জানালেন, শিক্ষকই নেই, পড়াবেন কে! তাই অন্য স্কুলে ভর্তি করার কথা ভাবছেন মেয়েকে। একই কথা জানালেন আর এক পড়ুয়ার অভিভাবক দেবব্রত মণ্ডল।

আক্ষেপের সুরে মিঠু বলেন, ‘‘যখন চার জন শিক্ষক ছিলেন, তখন পড়াশোনা ভাল হত। আমাদের পড়ুয়ারাই অষ্টম শ্রেণির পরে পার্শ্ববর্তী স্কুলগুলো থেকে মাধ্যমিকে ভাল ফল করত। পর্যাপ্ত শিক্ষক থাকলে পড়ুয়ার সংখ্যা আরও বাড়ানো যেত।’’

শুধু এই স্কুলই নয়, আরও কয়েকটি স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা উদ্বেগজনক ভাবে কমে গিয়েছে। হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের নবীনগঞ্জ জুনিয়র হাইস্কুলে স্কুলে স্থায়ী শিক্ষকের পদ রয়েছে তিনটি। স্কুল সূত্রে খবর, ২০১২ সালে স্কুল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত একজনও স্থায়ী শিক্ষক আসেননি। শুধুমাত্র দু’জন অতিথি শিক্ষককে দিয়েই স্কুল চলছে। তার মধ্যে একজন শিক্ষকের চাকরির মেয়াদ আগামী মার্চ মাসে শেষ হবে। অন্য শিক্ষক বিকাশইন্দু সরকার বলেন, ‘‘মার্চ মাসের পরে আমি একা হয়ে যাব। ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি স্কুলের অফিশিয়াল কাজও দেখতে হবে। যদি কাউকে নিয়োগ করা না হয়, তখন কী ভাবে চলবে, তা ভেবে এখন থেকেই চিন্তা হচ্ছে।’’

হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের পঞ্চপল্লি দিগম্বর সিনহা বিদ্যায়তন স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার ব্যবস্থা আছে। বর্তমানে পড়ুয়া সংখ্যা ৩২৯। স্থায়ী শিক্ষকের পদ রয়েছে ১৬টি। বর্তমানে স্থায়ী শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ৪ জন। প্রধান শিক্ষক ভোলানাথ মণ্ডল বলেন, ‘‘উচ্চ প্রাথমিক পড়ুয়াদের ক্লাস শুরু হলে শুধু চার জন শিক্ষক দিয়ে স্কুল চালানো সম্ভব হবে না। আংশিক সময়ের শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। তবে বেশিদিন এ ভাবে চালানোর মতো আর্থিক ক্ষমতা স্কুলের নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement