—প্রতীকী চিত্র।
পাচার হওয়ার সময় শনিবার সন্ধ্যায় কাকদ্বীপ নতুন রাস্তা চেকপোস্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে বেশ কিছু রেশনের আটার প্যাকেট উদ্ধার করেছিল পুলিশ। আটক করা হয় একটি ইঞ্জিনভ্যান। পাচার চক্রে জড়িত অভিযোগে মধুসূদন দাস নামে একজনকে আটকও করেছিল পুলিশ। পরে তাকে গ্রেফতার করা হল।
পুলিশ জানায়, ধৃত মধুসূদন কাকদ্বীপের বিদ্যানগরের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতকে রবিবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক তাকে চার দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তাকে জেরা করে কাকদ্বীপের স্বরূপনগরের একটি গুদাম থেকে মোট ৪০৫০ প্যাকেট রেশনের আটা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রতি প্যাকেটের ওজন ৯৫০ গ্রাম করে।
এসডিপিও (কাকদ্বীপ) প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। এই ঘটনায় আসল মাথাকে খুব তাড়াতাড়ি আমরা গ্রেফতার করব।’’ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলেন, ‘পুলিশ ও খাদ্য দফতর তদন্ত করছে। সরকারি রেশনের আটা কোথা থেকে এসেছে, কোন ডিলারের মাল তার বিস্তারিত তথ্য আমরা সংগ্রহ করছি। ঘটনায় যুক্ত ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি হবে।’’ জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধক্ষ তথা মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার বলেন, ‘‘রেশনের সামগ্রী পাচার করা অন্যায়। এই ঘটনায় যারা যুক্ত রয়েছে, পুলিশ সঠিক তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’’