নার্সিং কলেজের প্রধানকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের। —নিজস্ব চিত্র।
চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ। গড়িয়ায় একটি বেসরকারি নার্সিং কলেজে ভাঙচুর চালালেন পড়ুয়ারা। সোমবার রাতেই কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পড়ুয়াদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই নার্সিং কলেজের প্রধান মানিকলাল জানাকে আটক করেছে পুলিশ। থানায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গড়িয়া স্টেশন এলাকার শ্রীনগরে রয়েছে নার্সিং কলেজটি। পড়ুয়াদের অভিযোগ, নার্সিং পড়ার স্বপ্ন নিয়ে ওই কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন তাঁরা। দিয়েছিলেন ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। কিন্তু দু’বছর কেটে গেলেও তাঁরা কোনও শংসাপত্র হাতে পাননি। এমনকি টাকা ফেরত চাইলেও দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
তৃষ্ণা মণ্ডল নামে ওই নার্সিং কলেজের এক পড়ুয়া বলেন, “অনেক কষ্ট করে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা জোগাড় করে কলেজকে দিয়েছিলাম। আমাদের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের আসল শংসাপত্রগুলিও নিয়ে নেওয়া হল। চাইতে গেলে বলা হত, সেগুলি বেঙ্গালুরু পাঠানো হয়েছে।” কাঁদতে কাঁদতে ওই পড়ুয়ার সংযোজন, “এই দু’বছরে কিছুই হল না। কোথাও চাকরি পেলাম না। উল্টে আসল শংসাপত্র দেখাতে না পারায় অন্য কোথাও ভর্তি হতে পারলাম না। আমরা বিচার চাই।”
অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলেজটির প্রধান জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। অনেককে চেকের মাধ্যমে টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “অনেকে পুরো কোর্স না করেই কলেজ ছেড়ে দিতে চাইছেন। তাঁদের নামের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। সবাইকে টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।” পডুয়াদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব নগদে টাকা মিটিয়ে দিতে হবে।