দাম্পত্য কলহ মেটানোর চেষ্টা করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার! —প্রতীকী চিত্র।
স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি মিটিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন তিনি। এই মর্মে বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপন দেখে ‘সাধুবাবা’র কাছে ছুটে গিয়েছিলেন এক বধূ। দাম্পত্য কলহ মিটিয়ে দেওয়ার নামে সেই বধূকে একাধিক বার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ‘সাধু’ এবং তাঁর এক সাগরেদের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, লজ্জা এবং অপমানে শেষ পর্যন্ত গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বধূ। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর ঘটনা। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ‘সাধুবাবা’কে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে ‘সাধু’ সুকুমার দাস এবং জয়দেব নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার দাদা। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সুকুমারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে।
মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন জানান, বছর ছয়েক আগে বিয়ে হয় বৃন্দার (নাম পরিবর্তিত)। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে তাঁর বনিবনা হত না। প্রায়শই ঝামেলা হত দু’জনের। এক বার ঝগড়ার পর রাগ করে বৃন্দার স্বামী বাড়ি ছেড়ে চলে যান। এর পর দাম্পত্য কলহ মেটানোর জন্য এক ‘সাধু’র পরামর্শ নিতে যান বৃন্দা। অভিযোগ, ওই সাধু এবং তার এক সহযোগী বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখিয়ে একাধিক বার বৃন্দাকে ধর্ষণ করেন। শেষে অপমান এবং ভয়ে সোমবার গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। মৃত্যুর আগে একটি চিরকুটে তিনি গোটা ঘটনা লিখে গিয়েছেন বলে দাবি তাঁর পরিবারের। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।