নিজস্ব চিত্র
২ বছর আগে ফেসবুকে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল বারুইপুরের এক গৃহবধূর। অচিরেই তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু প্রেমিক দুষ্কৃতী, এ কথা জানতে পেরে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। আর সে কথা বুঝতে পেরেই প্রেমিক অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এমনকি সে ওই বধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। কিন্তু প্রেমিকা বিষয়টি থানায় জানাতে যাওয়ার পথেই প্রেমিক ওই বধূকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে বারুইপুর থানার পুলিশ। পরে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে অপহরণকারী। ধৃত শুভ্রজিৎ দাস ওরফে টুকান পুলিশি জেরায় নিজের দোষ স্বীকার করে নেয় বলেও দাবি পুলিশের। সোমবার ধৃতকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বারুইপুরের শিবানীপীঠ এলাকার বাসিন্দা ওই গৃহবধূর সঙ্গে নতুনপাড়ার বাসিন্দা টুকানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। রবিবার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে বারুইপুর থানায় অভিযোগ জানাতে যাচ্ছিলেন ওই বধূ। নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় রাস্তার উপর গাড়ি দাঁড় করিয়ে টুকান পথ আটকায় বলে অভিযোগ করেছেন ওই বধূ। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বধূকে গাড়িতে তোলে। সেখান থেকে তাঁকে নতুনপাড়ায় নিজের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে সে৷ বারুইপুর থানার পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পর টুকানের বাড়ি থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করতে যায়। গৃহবধূকে উদ্ধার করতে গেলে প্রেমিক টুকান বাধা দেয়। তার কাছে থাকা বন্দুক দিয়ে শূন্যে গুলি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। ঘটনায় ৩ পুলিশ কর্মী আহত হন। তবে শেষমেশ টুকানকে পাকড়াও করে পুলিশ। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি নাইন এমএম পিস্তল ও ৪ রাউন্ড কার্তুজ।