নন্দিতা দাস। নিজস্ব চিত্র।
বিহারে নাচের অনুষ্ঠানে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়েছিল জগদ্দলের এক তরুণীর। সেই ঘটনায় পুলিশ সোমবার চার জনকে বিহার থেকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম নন্দিতা দাস (১৮)। জগদ্দল থানায় তাঁর পরিবার অভিযোগ করে, পিটিয়ে খুন করা হয়েছে নন্দিতাকে। এর পরেই মূল অভিযুক্ত খুশি মজুমদার-সহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতদের ট্রানজ়িট রিমান্ডে নিয়ে আসা হচ্ছে। আজ, মঙ্গলবার তাদের ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, জগদ্দলের নেতাজিনগর কলোনির বাসিন্দা নন্দিতা। দিনকয়েক আগে শ্যামনগরের রাহুতার বাসিন্দা খুশি তাঁকে কেটারিংয়ে কাজের নাম করে বিহারে সিওয়ান জেলার মাধবপুর গ্রামে একটি নাচের অনুষ্ঠানে নিয়ে যায়। সেখানেই ১ ডিসেম্বর গভীর রাতে হাসপাতালে মৃত্যু হয় নন্দিতার। অভিযোগ, কোনও কারণে নন্দিতার সঙ্গে খুশির বিবাদ হয়। তার জেরেই খুশি ও তার দলবল নন্দিতাকে মারধর করে। তার পরেই মারা যান নন্দিতা।
মৃতার মা সুচিত্রা দাস বলেন, ‘‘মেয়েকে কেটারিংয়ে কাজের নাম করে খুশি বিহারে নিয়ে যায়। ১ তারিখ রাতে ফোনে জানায়, মেয়ে হাসপাতালে মারা গিয়েছে। খুশি জানিয়েছিল, তার সঙ্গে অশান্তির জেরেই নাকি আমার মেয়ে ঘুমের ওষুধ খেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে! কিন্তু দু’দিন পরে মেয়ের দেহ এলে দেখি, গায়ে আঘাতের চিহ্ন।’’ স্থানীয় কাউন্সিলর সুকেশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘কেটারিংয়ের নাম করে খুশি মেয়েদের বিহারে নিয়ে গিয়ে অনেকের সামনে নাচতে বাধ্য করে। অবাধ্য হলেই চলে নির্যাতন। খোঁজ নিয়ে এখন এসব জানতে পারছি।’’