habra

না ভেঙেই সরানো হচ্ছে চারতলা বাড়ি

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মছলন্দপুর-তেঁতুলিয়া সড়ক সম্প্রসারণে কাজ শুরু হয়েছে সম্প্রতি। রাস্তার পাশে থাকা দোকানপাট ভাঙার কাজ চলছে। রাস্তা সম্প্রসারণে জন্য বাড়ি-সহ আরও কয়েকটি দোকান ভাঙার প্রয়োজন। সরকারি জায়গায় থাকা অনেক দোকান মালিক প্রশাসনের নির্দেশে নিজেরাই নির্মাণ ভেঙে ফেলছেন। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:৪৬
Share:

প্রযুক্তির এ হেন ব্যবহার দেখে তাজ্জব মানুষজন। ছবি: সুজিত দুয়ারি

নির্মাণ অক্ষত রেখে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরানো হচ্ছে চারতলা বাড়ি। প্রায় ২৬ ফুট পিছনে সরানো হচ্ছে গোটা নির্মাণ। আর সেই কাজ দেখতে এলাকার মানুষের কৌতুহল তৈরি হয়েছে। রোজই ভিড় হচ্ছে হাবড়ার মছলন্দপুরে ওই এলাকায়।

Advertisement

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মছলন্দপুর-তেঁতুলিয়া সড়ক সম্প্রসারণে কাজ শুরু হয়েছে সম্প্রতি। রাস্তার পাশে থাকা দোকানপাট ভাঙার কাজ চলছে। রাস্তা সম্প্রসারণে জন্য বাড়ি-সহ আরও কয়েকটি দোকান ভাঙার প্রয়োজন। সরকারি জায়গায় থাকা অনেক দোকান মালিক প্রশাসনের নির্দেশে নিজেরাই নির্মাণ ভেঙে ফেলছেন।

রাস্তার পাশে দোকান-সহ চারতলা বাড়ি রয়েছে নির্মল কর্মকারের। তাঁর বাড়ির নীচে থাকা দোকানের একাংশ সরকারি জায়গায় পড়েছে। দোকান ভাঙার নির্দেশ তিনিও পেয়েছেন। দোকান ভাঙতে হলে বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাড়ি কী ভাবে না ভেঙে বাঁচানো সম্ভব, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেন তিনি। ইউটিউব ঘাঁটতে গিয়ে একটি সংস্থার খোঁজ পান। সংস্থাটি হরিয়ানার। তিনি ওই সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

Advertisement

হরিয়ানার সংস্থাটি তাদের প্রতিনিধি পাঠান মছলন্দপুরে। বাড়িটি দেখে তাঁরা নির্মলকে জানান, না ভেঙে তা নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে ফেলা সম্ভব।

সংস্থার তরফে নির্মলকে জানানো হয়, প্রায় ১ মাস সময় লাগবে এই কাজে, খরচ হবে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। নির্মল রাজি হয়ে যান। এরপরেই সংস্থাটি ২৪ জন ইঞ্জিনিয়ারকে মছলন্দপুরে পাঠিয়েছে। তাঁরা কাজ করছেন। ঘরের মেঝেও অক্ষত থাকছে।
সংস্থাটি রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি সরানোর কাজ করলেও চারতলা বাড়ি সরানোর এই প্রথম বলে জানিয়েছে। অন্যত্র সরানো হলেও আগের তুলনায় অনেক বেশি মজবুত হবে বলে তাদের দাবি।

যশোর রোড সম্প্রসারণের জন্য বহু বড় গাছ কাটা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। পরিবেশপ্রেমীদের অনেকের বক্তব্য, এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেই সব গাছকেও প্রাণে বাঁচানো সম্ভব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement