মাঠে পড়ে কুকুরের দেহ।
মাঠের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছ’টি পূর্ণবয়স্ক কুকুরের দেহ। আশেপাশের এলাকায় ধুঁকতে দেখা গেল আরও কয়েকটিকে।
অভিযোগ, বিষ খাইয়ে খুন করা হয়েছে কুকুরগুলিকে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক।
এনআরএস-কাণ্ডের স্মৃতি এখনও টাটকা। ১৬টি কুকুর শাবককে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় ধরা পড়ে দু’জন। কুকুরদের উপরে অত্যাচারের ঘটনা অবশ্য থেমে নেই। সোমবার হালিশহরে একটি কুকুরকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে এক জনকে ধরে গণধোলাই দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সামনে এসেছে ক্যানিংয়ের তালদি পঞ্চায়েতের আধলা গ্রামের ঘটনা।
গাজিপাড়ার এক ছাগল ব্যবসায়ীকে দায়ী করে গোটা ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের না হলেও ওই ব্যবসায়ী পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার আধলা গ্রামের ওই ব্যবসায়ীর একটি ভেড়াকে কুকুরে কামড়ায়। কয়েক দিন পরে ভেড়াটি মারা যায়। অভিযোগ, এরপরেই এলাকার কুকুরগুলিকে মেরে ফেলার ফন্দি আঁটেন ওই ব্যবসায়ী। মৃত ভেড়ার ছাল ছাড়িয়ে, গায়ে বিষ মাখিয়ে কুকুরদের আনাগোনার পথে একটি মাঠে ফেলে রাখেন।
এলাকার কয়েকটি কুকুর সেই মাংস খাওয়ার পরে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়। স্থানীয় মানুষ শনিবার মাঠের নানা দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখেন কুকুরের দেহ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অনেকের বাড়ির পোষা দেশি কুকুরও ওই মাংসের টুকরো খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
এতগুলি কুকুরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর সোমবার রাতে পৌঁছয় ‘ক্যানিং অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সদস্যদের কাছে। সংগঠনের এক সদস্যের কথায়, ‘‘আমরা জানতে পেরেছি, বিষ মেশানো মাংস খাওয়ার পরে কুকুরগুলি মাটিতে শুয়ে ছটফট করতে করতে মারা গিয়েছে। এখনও এলাকার বহু কুকুর অসুস্থ। ওদের চিকিৎসা করা হচ্ছে।’’
সংগঠনের সদস্যেরা মৃত কয়েকটি কুকুরের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যান রাজ্য প্রাণিস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। বিষক্রিয়ার মৃত্যু হয়েছে বলেই চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান।