—প্রতীকী ছবি
পুলিশ বলছে, হামলা হয়েছিল নামখানা ব্লকের বিডিওর উপর। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচজনকে। কিন্তু যাঁর উপর হামলার অভিযোগ, সেই বিডিও শান্তনু সিংহ ঠাকুর বলছেন অন্য কথা। তাঁর বক্তব্য, কেউ নাকি হামলা করেনি তাঁর উপর। তা হলে কেন লিখিত অভিযোগ? বিডিওর জবাব, ‘‘এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে কিছু সমস্যা হয়েছিল। তাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে এফআইআর করা হয়েছিল।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহখানেক আগে দুয়ারে সরকার কর্মসুচিতে নামখানা ব্লকের বিডিও শান্তনু মৌসুনি দ্বীপে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি শোনেন, ওই দ্বীপে পর্যটকের জ্য যে সমু্দ্র লাগোয়া কটেজগুলি গড়ে তোলা হয়েছে সেখান থেকে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করা যায়। গত বুধবার বিডিওর দুই আত্মীয় ওই কটেজগুলির একটিতে উঠেছিলেন। বুধবার রাতে আত্নীয়দের কাছে পৌঁছন বিডিও। সকলে মিলে সৈকতে জ্যোৎস্না রাত উপভোগ করছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, হঠাৎই কয়েকজন যুবক এসে বিডিওর কাছে জানতে চান, এত রাতে সৈকতে ঘোরাঘুরি করার কারণ কী? বিডিও জবাব দেন। কিন্তু অভিযোগ, জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে ওই যুবকেরা উত্তেজিত হয়ে কথা বলতে থাকেন। শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, কয়েকজন বিডিওর উপর চড়াও হন। হাতে আঘাত পান বিডিও। কটেজের কর্মীরা খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়েও দেওয়া হয় তাঁকে।
বুধবার রাতেই ঘটনাস্থলে যান নামখানা ব্লকের যুগ্ম বিডিও। পৌঁছয় ফ্রেজারগজ্ঞ কোস্টাল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনীও। লিখিত অভিযোগ করেন বিডিও। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযোগের তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার ভোরে ফ্রেজারগজ্ঞ কোস্টালের মৌসুনি পঞ্চায়েতে বালিয়াড়া গ্রাম থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম সফিকুল খান, রবিউল ইসলাম, শেখ হাবিবুর রহমান, শেখ সারাফত ও শেখ জাহাঙ্গির হোসেন। মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে।