প্রতীকী ছবি।
করোনার প্রাদুর্ভাব চলছে। এ বার তার দোসর যদি হয় ডেঙ্গি, তা হলে আর রক্ষে থাকবে না। তাই ডেঙ্গি মোকাবিলায় বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য অর্থ দফতরের কাছে সুপারিশ করেছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। সেই সঙ্গে গত দু’বছরে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের নিরিখে রাজ্যের ৪২টি পুরসভা এলাকাকে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য দফতর। ওই ৪২ পুরসভাকে ঘিরে বিশেষ পরিকল্পনা করার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পুর দফতরকে। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করছে পুর দফতর। ডেঙ্গি মোকাবিলার অন্যতম শর্ত, পুরো এলাকা জঞ্জালমুক্ত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, জল জমতে না-দেওয়া। তার সঙ্গেই রয়েছে বিভিন্ন বাড়ি, পাড়া, এলাকা সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর নেওয়া। সংশ্লিষ্ট ৪২টি পুরসভায় সেই নজরদারির কাজ যাতে সুচারু ভাবে হয়, সেই জন্য ভেক্টর কন্ট্রোল টিমের (ভিসিটি) সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে পুর দফতরের। একই সঙ্গে ভিসিটি-র সদস্যদের আর্থিক ভাতাও বাড়াতে চায় তারা। নজরদারির জন্য যাঁরা বাড়ি-বাড়ি (এইচ-টু-এইচ) যান, সেই সদস্যদেরও ভাতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে অর্থ দফতরের কাছে পাঠানো পুর দফতরের সুপারিশে। ভিসিটি এবং এইচ-টু-এইচ টিমের সদস্যেরা এখন দৈনিক মাথাপিছু ১৫০ টাকা পান। তার সঙ্গে আরও ২৫ টাকা যুক্ত করে মোট ১৭৫ টাকা দেওয়ার সুপারিশ করেছে পুর দফতর। সাধারণ ভাবে দুই সদস্য নিয়ে তৈরি এক-একটি এইচ-টু-এইচ টিমের অধীনে প্রায় ৬০টি বাড়ি থাকে। প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য থাকে দু’টি ভিসিটি টিম। তবে স্বাস্থ্য দফতরের বাছাই করা ওই ৪২টি পুরসভায় তিনটি এইচ-টু-এইচ টিম-পিছু একটি করে ভিসিটি টিম রাখার পরিকল্পনা করেছে পুর দফতর। তিন সদস্য নিয়ে গড়া হয় ভিসিটি টিম, যাদের মূল কাজ সামগ্রিক ভাবে পাড়া, এলাকা বা ওয়ার্ড জঞ্জালমুক্ত আছে কি না, জল জমছে কি না, পরিচ্ছন্নতা বজায় আছে কি না, না-থাকলে কী ভাবে তা করতে হবে— সেগুলো দেখা এবং এইচ-টু-এইচ টিমের সঙ্গে সমন্বয় রাখা। এক দিকে টিমের সদস্যদের পারিশ্রমিক বাড়ানো, অন্য দিকে টিমের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা হয়েছে। দুইয়ে মিলিয়ে বাড়তি অর্থের প্রয়োজন। ডেঙ্গি মোকাবিলায় ৪২টি পুরসভাকে পৃথক ভাবে বেছে নেওয়া হলেও রাজ্যের সব পুরসভাকেই পতঙ্গবাহিত রোগ মোকাবিলার জন্য টিম প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে পুর দফতর।