Bhangar

ভাঙড়ে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার আরও তিন আইএসএফ কর্মী, তল্লাশি অভিযানের পর থমথমে এলাকা

তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পরবর্তী পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে বলে আশঙ্কা করে পুলিশ-প্রশাসনকে নিশানা করেছিলেন শাসকদলের আরাবুল ইসলাম। তার পরেই আটক ৪ আইএসএফ কর্মী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভাঙড়  শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩ ০৯:৫৪
Share:

ভাঙড়ে সংঘর্ষের ঘটনার জের চলছে। নিজস্ব ছবি।

ভাঙড়ের হাতিশালায় সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তৃণমূল এবং আইএসএফের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পরবর্তী পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে বলে আশঙ্কা করে পুলিশ-প্রশাসনকে নিশানা করেছিলেন শাসকদলের নেতা আরাবুল ইসলাম। তার পরেই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানা এবং কাশীপুর থানার পুলিশ যৌথ ভাবে আরও ৪ জন আইএসএফ কর্মীকে আটক করে। পরে তাঁদের ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে রাতে লেদার কমপ্লেক্স থানা এবং কাশীপুর থানার পুলিশ যৌথ ভাবে কাশীপুর থানার অন্তর্গত সাতুলিয়া, নাংলা এবং আলাকুলিয়া এলাকা থেকে আইএসএফ কর্মীদের আটক করে লেদার কমপ্লেক্স থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

গত এক সপ্তাহ ধরে ভাঙড়ে রাজনৈতিক অশান্তি চলছে। গত শনিবার বিধায়ক নওশাদের ধর্মতলা থেকে গ্রেফতারির পর এই চাপান-উতোর চরমে পৌঁছয়। বিভিন্ন জায়গায় মিটিং-মিছিলের ডাক দিয়েছে আইএসএফ। বুধবার শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেছে তারা। রাজ্যের পুলিশ অনৈতিক ভাবে বিরোধী দলের বিধায়ক এবং নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে বলে অভিযোগ আইএসএফ নেতাদের। দলের প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকির অভিযোগ, গণতন্ত্রকে শেষ করে দিচ্ছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবারও ভাঙড় থানার বড়ালি এলাকায় পাড়ায় পাড়ায় মিছিল করে আইএসএফ। দলের কর্মী-সমর্থকেরা কালো ব্যাজ পরে মিছিলে হাঁটেন। তাঁদের দাবি একটাই— বিধায়ক নওশাদ-সহ ধৃত আইএসএফ নেতাদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে। এই নিয়ে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এলাকায়। এর পর রাতে পুলিশের তল্লাশি অভিযানের পর এলাকা আরও থমথমে বলেই দাবি স্থানীয়দের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement