মগরাহাটে আক্রান্ত পুুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
ভোটপর্ব মিটলেও অশান্তি থামেনি রাজ্যে। বিভিন্ন জায়গা থেকেই বিক্ষিপ্ত গোলমালের খবর মিলেছে। রবিবার সকালেও তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের নৈনান এলাকায়। সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হল পুলিশকে। রাজনৈতিক হানাহানিতে জখম হলেন তিন পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন এসআই এবং দুই কনস্টেবল রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক কনস্টেবলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি বর্তমানে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকাল থেকেই নৈনান এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় শাসক তৃণমূল ও কংগ্রেস। ওই ঘটনার খবর পেয়ে মগরাহাট থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে যায়। অভিযোগ, সেখানে কংগ্রেস কর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে তাদের মারধর করেন। তাতে মাথা ফাটে পুলিশকর্মীদের। ঘটনায় জখম হয়েছেন এসআই আরিফ মহম্মদ এবং দুই কনস্টেবল— লাল্টু ও প্রসেনজিৎ। এর পরেই ঘটনায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
শনির ভোটপর্বে রাজ্য জুড়ে বিস্তর অশান্তির পর তা দেখা গিয়েছে রবিবারও। গোলমাল হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। ভোটের দিন চার জনের প্রাণহানির পরেও অশান্তি জারি মুর্শিদাবাদে। রবিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ এবং রানিনগর। শমশেরগঞ্জে তৃণমূল এবং নির্দল প্রার্থীর দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত এলাকা। শমসেরগঞ্জ থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু তাজা বোমা। অন্য দিকে, মুর্শিদাবাদেরই বেলডাঙায় কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। তার প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। রানিনগরে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপরে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তাতে আহত চার তৃণমূল কর্মী, এমনটাই দাবি তৃণমূলের। কংগ্রেস সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।