Indian Railways

ক্যানিং শাখায় বাতিল দশ জোড়া লোকাল

অফিস টাইমে লোকাল ট্রেন যথেষ্ট কম থাকায় সমস্যায় পড়েছেন অফিস যাত্রীরা।

Advertisement

প্রসেনজিৎ সাহা 

ক্যানিং শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৬:০৬
Share:

—ফাইল চিত্র।

লকডাউনের পর যেখানে সমস্ত লাইনে লোকাল ট্রেন বাড়ানোর দাবি উঠেছে, সেখানে শিয়ালদহ-দক্ষিণ শাখার ক্যানিং লাইনে দশ জোড়া লোকাল ট্রেন কমানো হয়েছে।

Advertisement

অফিস টাইমে লোকাল ট্রেন যথেষ্ট কম থাকায় সমস্যায় পড়েছেন অফিস যাত্রীরা। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই স্টেশন সুপারিন্টেনডেন্টের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন নিত্যযাত্রীরা।

লকডাউনের আগে ক্যানিং থেকে শিয়ালদহগামী ও শিয়ালদহ থেকে ক্যানিংগামী মোট তিরিশ জোড়া লোকাল ট্রেন চলত। লকডাউনের পর সেই সূচি মেনেই ১১ নভেম্বর থেকে সরকারি ভাবে ট্রেন চলাচল শুরু করে। ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার সময়ে পুরনো সূচি মেনে প্রায় সব ট্রেনই চালু হয়েছিল ক্যানিং লাইনে। বেশ কিছু দিন সেই সূচি মেনেই ট্রেন চলাচল করেছে। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করে এই শাখায় দশ জোড়া ট্রেন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গুরুত্বপূর্ণ অফিস টাইমেই বেশ কিছু ট্রেন কমিয়ে দেওয়ায় যথেষ্ট সমস্যায় পড়েছেন নিত্য যাত্রীরা। কলকাতার দিক থেকে যে সমস্ত মানুষ ক্যানিংয়ের দিকে চাকরি করতে আসেন, তাঁরাও সমস্যায় পড়েছেন। ইতিমধ্যেই ক্যানিং বিডিও অফিসের একদল কর্মী ক্যানিং স্টেশনের সুপারিন্টেনডেন্ট তমালতরু ঢালির কাছে সমস্যার কথা জানিয়েছেন। বিডিও অফিসের কর্মী মৌসম সরকার বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন নানা অসুবিধার মধ্যে দিয়ে অফিস করেছি। ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় স্বস্তি পেয়েছিলাম। কিন্তু মূলত যে ট্রেনগুলিতে চেপে ক্যানিংয়ে অফিস করতে আসেন মানুষ, সেই ট্রেনগুলিই বাতিল করা হয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।” অফিস যাত্রীদের আরও অভিযোগ, অফিস টাইমে ট্রেন না থাকায় প্রয়োজনের থেকে প্রায় দু’ঘণ্টা আগে এসে ট্রেন ধরতে হচ্ছে। সময় নষ্ট হচ্ছে। অন্য দিকে, বিকেলে ফেরার সময়েও একই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। ক্যানিং বিডিও অফিসের আরও এক কর্মী মদন মণ্ডল বলেন, “এই সমস্যা শুধু আমাদের নয়, অন্য সরকারি ও বেসরকারি অফিসের কর্মীরাও ভুগছেন। আমাদের সমস্যার কথা আমরা স্টেশন সুপারিন্টেনডেন্টকে জানিয়েছি। যাতে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হয় সেই দাবি করেছি।” তমালতরু বলেন, ‘‘কিছু যাত্রীরা তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।” দশ জোড়া ট্রেন বাতিলের সমস্যায় পড়েছেন খোদ রেলের কর্মীরাও। এই ট্রেনে চেপে যে সমস্ত রেলের কর্মী ক্যানিং-সহ অন্য স্টেশনগুলিতে যাওয়া-আসা করেন, তাঁরাও সমস্যায় পড়েছেন। ক্যানিং স্টেশনের বুকিং সুপারভাইজার অভিনিন্দ্রাপ্রসাদ বলেন, “অফিস টাইমে কিছু ট্রেন বাতিল হয়েছে। এতে সমস্যা হচ্ছে যাত্রীদের। আমি নিজেও এর ফলে সমস্যায় পড়ছি।” ক্যানিং স্টেশন সূত্রের খবর, ২৩ নভেম্বর থেকে নতুন তালিকা দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকাতেও ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়নি। উপরন্তু তালিকা অনুযায়ী ট্রেন চলছে না বলেও দাবি রেল কর্মীদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement