গ্রেফতারির আগে দুই যুবককে কান ধরে ওঠবস করানো হয়। —নিজস্ব চিত্র।
কর্তব্যরত মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করল ডায়মন্ড হারবার পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, ওই সিভিক পুলিশকে হেনস্থা করেছেন যুবকেরা। তবে গ্রেফতারির আগে তাঁদেরকে রাস্তায় কান ধরে ওঠবস করানো হয়। এমনকি, ধৃতদের লাথিও মারা হয় বলে অভিযোগ।
সোমবার একটি ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যায়, ডায়মন্ড হারবার এলাকায় ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর কর্তব্যরত মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারকে হুমকি দিচ্ছেন দুই যুবক। ওই ভিডিয়ো চোখে পড়তেই তৎপর হয় পুলিশ। সোমবার দুপুরে অভিযুক্তদের খোঁজে অভিযানে নামেন ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও) মিতুনকুমার দে। ভিডিয়োয় যে যুবকদের দেখা গিয়েছিল, তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। তবে গ্রেফতারির আগে তাঁদের চুলের মুঠি ধরে রাস্তায় নিয়ে আসা হয় বলে অভিযোগ। এর পর রাস্তার উপরেই কান ধরে ওঠবস করানো হয় তাঁদের। পুলিশের বিরুদ্ধে ধৃতদের লাথি মারারও অভিযোগ উঠেছে। পরে তাঁদের ডায়মন্ড হারবার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম মুজাহিদ লস্কর এবং ইনজামামুল হক মোল্লা।
কর্তব্যরত মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারকে হুমকি যুবকের। —নিজস্ব চিত্র।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, স্টেশন বাজারের কাছে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর নিত্যদিন যানজট হয়। সেই যানজট সামলাতে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি সিভিক ভলান্টিয়াররাও কাজ করেন।
পুলিশের দাবি, সোমবার সকালে ট্রাফিক নিয়ম অমান্য করে রাস্তার উপর গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন স্থানীয় যুবক ইনজামামুল এবং মুজাহিদ। কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়াররা তাঁদের সরে যেতে বলায় বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, বচসার সময় এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারকে হেনস্থা করেন ওই যুবকেরা। এমনকি, তাঁকে মারতেও উদ্যত হন।
যুবকদের হুমকি দেওয়ার সেই ভিডিয়ো নিমেষে ভাইরাল হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই যুবককে গ্রেফতার করেন ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। এসডিপিও বলেন, ‘‘কর্তব্যরত মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারকে হেনস্থা করেছিল দুই যুবক। তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’