Fish

Fish: ১১৪টি মাছ বিক্রি হল ৬০ লক্ষ টাকায়! কাকদ্বীপের আড়তে ‘মৎস্যাবতার’ দেখতে মানুষের ঢল

দিন কয়েক আগেই কাকদ্বীপ থেকে মৎস্যজীবীদের নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিল ট্রলার ‘এফবি গিরিবালা’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:০৩
Share:

আড়তে নিলামের জন্য আনা হয়েছে মাছগুলি। নিজস্ব চিত্র

জালে ধরা পড়ে যাওয়া একটি মাছের ঝাঁক রাতারাতি কপাল ফিরিয়ে দিল মৎস্যজীবীদের। বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় মৎস্যজীবীদের জালে উঠেছিল ১১৪টি তেলিয়া ভোলা মাছ। ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজার আড়তে সেই মাছ বিক্রি হল ৬০ লক্ষ টাকায়। মহার্ঘ এই মাছ দেখতে মঙ্গলবার আড়তে ভিড় জমান বহু মানুষ৷
মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই কাকদ্বীপ থেকে মৎস্যজীবীদের নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিল ট্রলার ‘এফবি গিরিবালা’। সমুদ্রে মাছ ধরার সময় জালবন্দি হয় তেলিয়া ভোলা মাছের একটি ঝাঁক। জাল ট্রলারে তুলে দেখা যায় ১১৪টি তেলিয়া ভোলা ধরা পড়েছে। এর পর কালবিলম্ব না করে ট্রলার নিয়ে কাকদ্বীপ বন্দরে ফিরে আসেন ওই মৎস্যজীবীরা। সোমবার মাছ নিয়ে যাওয়া হয় ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজার আড়তে। সেখানেই নিলামের মাধ্যমে ৬০ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয় সেই মাছ। ট্রলার মালিক তপন গিরির কথায়, ‘‘অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের মতো চাইলেই তেলিয়া ভোলা ধরা সম্ভব নয়। ভাগ্যে ছিল বলেই আমরা ১১৪টি মাছ পেয়েছি।’’

Advertisement

ওয়েস্টবেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সম্পাদক বিজন মাইতির বক্তব্য, ‘‘সমুদ্রের জলস্তরের নিচের দিকে থাকায় সচারাচর তেলিয়া ভোলা ধরা পড়ে না। তবে কালেভদ্রে কিছু কিছু ঝাঁকে উপরের দিকে উঠে আসে। এই মাছের পটকা ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। তাই এর দাম অনেক বেশি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement