প্রতীকী ছবি।
কাকিমাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার কার্শিয়াঙে ভাসুরপো। নিজেকে বাঁচাতে চলন্ত গাড়ি থেকে ঝাঁপ দিয়ে গুরুতর জখম হন নির্যাতিতা ওই মহিলা। তিনি বর্তমানে শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি। অন্য দিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়েও একই রকমের এক ঘটনা ঘটেছে। কাকিমাকে ধর্ষণের অভিযোগে সেখানে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, পেশায় আশাকর্মী ওই মহিলা শুক্রবার কার্শিয়াং থেকে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে তাঁর সঙ্গে দেখা হয় দার্জিলিং সদর এলাকার বাসিন্দা আয়ুষ থাপার। সম্পর্কে তিনি মহিলার ভাসুরপো। মহিলাকে গাড়িতে তুলে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, পথে পাঙ্খাবাড়ি রোডে মকাইবাড়ি চা-বাগানের কাছে নির্জন রাস্তায় ওই মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন আয়ুষ। মহিলা নিজেকে বাঁচাতে চলন্ত গাড়ি থেকে রাস্তায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। গাড়ি নিয়ে পালান আয়ুষ। স্থানীয়েরা ওই মহিলাকে উদ্ধার করে প্রথমে কার্শিয়াং প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
কার্শিয়াঙের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনোরঞ্জন ঘোষ বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার পর শনিবার সকালেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত সম্পর্কে ওই মহিলার ভাসুরপো।’’ স্থানীয় সূত্রে দাবি, ওই মহিলার সঙ্গে আয়ুষের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।
অন্য দিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়েও কাকিমাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ভাসুরপোর বিরুদ্ধে। ঘটনার কথা বাইরে বললে নির্যাতিতাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গ্রেফতার অভিযুক্ত ভাসুরপো।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়ার পর বাড়ির বাইরে বারান্দায় বসেছিলেন এক মহিলা। আচমকাই তাঁকে মুখ চাপা দিয়ে অন্ধকারে নিয়ে যায় কেউ। জোর করে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। নির্যাতিতা মহিলা বুঝতে পারেন, ধর্ষক তাঁর ভাসুরপো। অভিযুক্ত যুবক নিজের কাকিমাকে ঘটনার কথা চেপে যাওয়ার মূল্য হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দিতে চায়। কিন্তু নির্যাতিতা টাকা নিতে চাননি। তার পর তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দেয় ভাসুরপো। সেখান থেকে কোনও রকমে পালিয়ে বাড়ি আসেন নির্যাতিতা মহিলা। শুক্রবার কাশীপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ অভিযুক্ত ভাসুরপোকে গ্রেফতার করেছে।