গাড়ির মধ্যে মৃত দুই বনকর্মী। মঙ্গলবার সকালে। নিজস্ব চিত্র।
বাঘের উপস্থিতি নিয়ে সোমবারই নিশ্চত হয়েছিলেন বনকর্মীরা। তার পরই গোয়ালতোড়ে পাতা হয়েছিল খাঁচা। তদারকির জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল বনকর্মী। পরিকল্পনা মতো ওই রাতে খাঁচার কাছাকাছি বন দফতরের গাড়িতেই ছিলেন দুই কর্মীও।
মঙ্গলবার সকালে সেই গাড়ির মধ্যে থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল ওই দুই কর্মীর দেহ। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে শ্বাসরোধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। পুলিশ ও বন দফতর সূত্রে খবর, মৃত দু’জনের মধ্যে এক জন গাড়ির চালক অমল চক্রবর্তী (২৮) এবং অন্য জন ফরেস্ট গার্ড দামোদর মুর্মু (৩৪)। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ের হামারগেড়্যার নয়াবসত রেঞ্জে।
বন দফতর সূত্রে খবর, এ দিন সকালে বন দফতরের ওই গাড়ির কাছে এসে অমল এবং দামোদরকে ডাকাডাকি করেন অন্য কর্মীরা। বেশ কিছু ক্ষণ ডাকার পরও তাঁদের সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয় বনকর্মীদের। তখনই গাড়ির দরজা ভাঙেন তাঁরা। গাড়ির মধ্যেই মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় ওই দু’জনকে। যদিও ওই দুই কর্মীর দেহে কোনও রকম আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ‘ওটা বাঘ-ই ছিল, এত ভুল হবে না’
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, রাতে গাড়ির সব দরজা-জানালা বন্ধ করে ভিতরে ঘুমাচ্ছিলেন অমল এবং দামোদর। তার উপর গাড়ির মধ্যেই একটি জেনারেটর ছিল। রাতে লাইট জ্বালাতে ব্যবহার করা হচ্ছিল জেনারেটরটি। ছিল বাঘ ধরার জন্য জালও। দেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
বন দফতরের সেই গাড়িটি। নিজস্ব চিত্র।
লালগড়, শালবনি, মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকার পরে রবিবার সকালে গোয়ালতোড়ে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যায় বলে দাবি ওঠে। এমনকী, গোয়ালতোড়ের কুশকাঠির জয়রাম সরেন নামে এক বাসিন্দা বাঘের হানায় জখম হন বলেও দাবি করেন। তার পর সোমবার বাঘের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পরই বাঘ ধরার জন্য পাতা হয়েছিল খাঁচা।