ব্যারাকপুর আসনকে ঘিরে পারদ চড়তে শুরু করেছে। - ফাইল চিত্র।
আগামী সোমবার রাজ্যে ৭ কেন্দ্রে নির্বাচন হলেও, ব্যারাকপুর আসনকে ঘিরে পারদ চড়তে শুরু করেছে। গত কয়েক দিন ধরেই তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে বাগ্যুদ্ধ যেমন চলছে, তেমনই বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ঘটনায় একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। বিজেপি এবং তৃণমূল দু’পক্ষই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জানিয়েছে। গোটা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই আসনের জন্যে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। থাকবে পর্যাপ্ত পুলিশও। ভোটের দিনে ব্যারাকপুর আরও উত্তপ্ত হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ভাটপাড়ার তৃণমূল প্রাক্তন বিধায়ক অর্জুন এখন বিজেপিতে। ভোটের ঠিক আগে তিনি পদ্ম শিবিরে যোগ দেন।রাজনৈতিক মহলের গুঞ্জন, ব্যারাকপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদীর নাম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করার কারণেই দল ছাড়েন অর্জুন। এর পর থেকে ওই কেন্দ্রে উত্তেজনার পারদ চড়ছে।
কমিশন সূত্রে খবর, পঞ্চম দফা নির্বাচনে প্রায় ১০০ শতাংশ বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ব্যারাকপুর ছাড়াও, আরামবাগ, হুগলি, বনগাঁ, শ্রীরামপুর, হাওড়া এবংউলুবেড়িয়াতেও ভোট রয়েছে। ব্যারাকপুরে মোতায়েন থাকবে ৭০ কোম্পানির বেশি বাহিনী। এ ছাড়া পরিস্থিতি অনুযায়ী এ রাজ্যের পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে এবং বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারেন। এ বিষয়ে অবশ্য তাঁরা কী পদক্ষেপ করবেন, সে বিষয়ে কমিশনের তরফে কিছু জানানো হয়নি। সব মিলিয়ে পঞ্চম দফায় মোট ৫২৮ কোম্পনি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
আরও পড়ুন : গেরুয়া-অর্জুনের নতুন ভূমিকায় তাজ্জব শিল্পাঞ্চল
আরও পড়ুন : তৃণমূল-বিজেপির ঝামেলা প্রচার ঘিরে উত্তপ্ত দত্তপুকুর
বাকি ৫০ কোম্পানিকে পরের দফার লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে পরের দফায় মাও প্রভাবিত এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।