বগটুই মামলায় প্রথম থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে একের পর এক গাফিলতির অভিযোগ। লালনকে গ্রেফতার করতে না পারার পিছনেও উঠছে পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ। ভাদুকে খুনের দিনও তাঁর সঙ্গেই ছিলেন লালন।
ফাইল চিত্র।
বগটুই-কাণ্ডে অভিযুক্ত চার জনকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁদের ট্রানজিট রিমান্ডে বাংলায় আনা হচ্ছে। এ বার কি সিবিআইয়ের জালে মুখ্য অভিযুক্ত লালন শেখ ধরা পড়বে? সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, লালনকে ধরতে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
বগটুই তো বটেই তার আশপাশের অঞ্চলের লোকজনও খুন হয়ে যাওয়া তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের সর্বক্ষণের সঙ্গী হিসেবেই লালনকে চিনতেন। লালনের সঙ্গী ছিলেন বাপ্পা শেখ, সাবু শেখরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের মুম্বই থেকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিভিন্ন ধরনের বেআইনি কারবারের সঙ্গে জড়িত লালন। স্থানীয় স্তরে প্রভাব প্রতিপত্তিও ছিল। তবে এলাকায় মূলত তাঁর পরিচিতি ছিল ভাদুর ডানহাত হিসেবেই। এলাকায় কথা বললে জানা যায়, ভাদুর সঙ্গেই সর্ব ক্ষণ থাকতেন লালন।
বগটুই মামলায় প্রথম থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে একের পর এক গাফিলতির অভিযোগ। লালনকে গ্রেফতার করতে না পারার পিছনেও উঠছে পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ। ভাদুকে খুনের দিনও তাঁর সঙ্গেই ছিলেন লালন। কোনও ভাবে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। অগ্নিকাণ্ডের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। কিন্তু ঘটনার সিবিআই তদন্ত শুরু হতেই চম্পট দেন।
সিবিআই সূত্রে দাবি, ধৃত চার জনকে গ্রেফতার করার পর লালনকে হাতে পাওয়াও তুলনামূলক ভাবে সহজ হবে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে লালনের কাছে পৌঁছনো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা।