বর্তমানে দাড়ি যেন হয়ে উঠেছে পুরুষের অলঙ্কার। বেশির ভাগ নারীর মন নাকি বাঁধা পড়ছে পুরুষের ওই দাড়ির ভাঁজেই! কাজেই আধুনিক প্রজন্মের দাড়ি রাখার প্রবণতা বেড়ে চলেছে নিত্যদিন। বিয়েতেই বা বাদ যাবে কেন!
বিয়ের প্রস্তুতি তো চলছেই জোর কদমে। এই বেলা দেখে নিন আপনার জন্য মানানসই দাড়ির স্টাইল কেমন হবে। রোজকার দাড়ির একই সাজ নয়, বরং নতুনত্ব আসুক তার স্টাইলেও।
স্টাবল: মুখের গড়ন যদি হয় গোল বা ডিম্বাকৃতি, তা হলে স্টাবল স্টাইল হতে পারে আপনার উপযুক্ত। বিয়ের আগে কিছু দিন দাড়ি রেখে দিলেই এই লুক একেবারে তৈরি। বিয়েতে সাধারণ লুকেই নজর কাড়তে চাইলে স্টাবল স্টাইলে দাড়ি রাখতে পারেন।
শেভরন বিয়ার্ড স্টাইল: নিষ্পাপ, ভালমানুষের মতো চেহারা চাইলে এই স্টাইল আপনার জন্যই। এই দাড়ির সঙ্গে মানানসই গোঁফ রাখা জরুরি। না হলে কিন্তু সব মাটি!
বালবো লুক: জ’লাইনে চাপ দাড়ি এবং তার সঙ্গে চিবুকের নীচে কিছুটা দাড়ি। একেই বলে বালবো লুক। বিয়ের শেরওয়ানি বা পাঞ্জাবির সঙ্গে এই দাড়ি বেশ মানানসই।
ইম্পেরিয়াল লুক: গোঁফের সঙ্গে সামঞ্জস্য রয়েছে কি না, সে দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। চিবুক থেকে খুব সামান্য অংশ জুড়ে থাকে এই দাড়ি।
গ্রুমড বিয়ার্ড: দাড়ি ছেঁটে ফেলতে চান না, আবার খুব বেশি বড়ও রাখতে চান না? কুছ পরোয়া নেই! গ্রুমড বিয়ার্ড এ ক্ষেত্রে হতে পারে আপনার ব্রহ্মাস্ত্র।
হিপস্টার বিয়ার্ড স্টাইল: চকোলেট বয় লুক নয়, বরং পৌরুষত্বকে নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তোলে হিপস্টার বিয়ার্ড। বিয়ের লুকের জন্য এই স্টাইল কিন্তু ইদানিং ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছে।
ডাচ লুক: ভিন্টেজ সাজ চাইলে ভরসা রাখুন ডাচ লুকে। আধুনিক পোশাকের সঙ্গে দাড়ির এই পুরনো কায়দার মেলবন্ধনে নিজেকে তুলে ধরতে পারেন ফিউশন লুকেও।
ভার্ডি লুক: দৈর্ঘ্যে ছোট কিন্তু ঘন দাড়ি। বোল্ড লুক দিতে চাইলে ভার্ডি লুক একেবারে যথাযথ আপনার জন্য।