শীতকালে যদি আপনার বিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তা হলে সব সামলে চুলের যত্ন নেওয়া বেশ দুষ্কর হয়ে পড়ে
একেই শীতকাল। আর শীতকাল মানেই চুলের দফারফা। তার মধ্যে যদি সেই সময়ে আপনার বিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তা হলে সেই চাপ সামলে চুলের যত্ন নেওয়া বেশ দুষ্কর হয়ে পড়ে। কিন্তু জানেন কি, আলাদা ভাবে সময় না বার করতে পারলেও বিয়ের আগে কিছু নিয়ম মেনে চললেই রুক্ষ চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে, উজ্জ্বল!
১.তেলে চুল তাজা
রুক্ষ চুলের মোক্ষম ওষুধ হল তেল। তবে তেল মেখে রাস্তায় বার হলে সব পরিশ্রম ওখানেই শেষ। শ্যাম্পু করার আগের দিন উষ্ণ গরম তেল মাথায় ভাল করে ম্যাসাজ করে পরের দিন শ্যাম্পু করে নিন। তেলের সঙ্গেই উধাও হবে শুষ্কতা।
২. অবশ্যই শ্যাম্পু করুন
প্রতিনিয়ত চুল পরিষ্কার রাখা কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবার রোজ শ্যাম্পু করাও চুলের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার শ্যাম্পু করা যথেষ্ট। তবে শ্যাম্পু করে পুরো চুল ভাল ভাবে না শুকোলে চুলের গোড়া নরম হয়ে গিয়ে চুল পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রবল।
৩. গোড়া থেকেই করুন কন্ডিশনিং
শ্যাম্পুর শেষে চুলে কন্ডিশনার অবশ্যই লাগাবেন। তবে মাথার তালুতে যেন কখনও কন্ডিশনার না লাগে। মাঝে মধ্যে কন্ডিশনারের পরিবর্তে চুলে ব্যবহার করতে পারেন বিয়ার। এতে আসে সুন্দর ঔজ্জ্বল্য। এ ছাড়াও আপনি চাইলে বাড়িতেই চায়ের লিকারের সঙ্গে দু’ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে তা দিয়ে চুল কন্ডিশনিং করতে পারেন।
বিয়ের আগে শরীর ও মন ভাল থাকলেই আপনার চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে বহুগুণ
৪. ঘরোয়া প্যাক
সপ্তাহে অন্তত এক বার চুলে প্যাক লাগান। যদি ঠান্ডা লাগার প্রবণতা না থেকে থাকে, তা হলে বিয়ের অন্তত ১৫ দিন আগে এক বার চুলে হেনা করুন। এবং সম্ভব হলে বিয়ের এক সপ্তাহ আগে ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে গরম তেল মিশিয়ে লাগাতে পারেন। এতে চুলের মসৃণতাও বজায় থাকবে।
৫. অবশ্যই স্পা করান
চটজলদি চুল সতেজ ও মসৃণ করে তুলতে স্পা-র জুড়ি মেলা ভার। শুধু বিয়ের আগেই নয়, পরেও কয়েক বার স্পা করা জরুরি। কারণ বিয়ের সময় চুলে নানান প্রসাধনীর জন্য নানা রকম প্রভাব পরে। তাতে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
৬. চুল বাঁধার নিয়ম
চুল নিয়মিত একই ভাবে বাঁধবেন না। সব সময় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বাঁধা উচিত। এতে চুল ভাল থাকে। যার ফলে বিয়ের সময়ও চুল বাঁধতে সুবিধা হয়।
৭. রং না করাই শ্রেয়
যদি প্রয়োজন না পড়ে তা হলে বিয়ের আগে চুলে রং না করাই ভাল। একান্তই যদি বিয়ে উপলক্ষে চুলে রং করতে চান, তা হলে চুলের যত্ন নিতে হবে অনেক আগে থেকেই।
৮. খাওয়াদাওয়া
এই সময় খাবারের অনিয়ম হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনার চুলের পুষ্টি ও শ্রীবৃদ্ধির চাবিকাঠি কিন্তু আপনার পেটই। তাই খাদ্য তালিকায় তেল জাতীয় খাবার বর্জন করুন আপাতত। শাকসব্জি আর মরসুমি ফল বেশি করে খান। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল জল।
বিয়ে মানেই চিন্তা। চিন্তার কারণেও কিন্তু চুলের জেল্লা কমতে থাকে। চুল পড়া শুরু হয়। তাই দুশ্চিন্তা কমান। মনে রাখবেন, বিয়ের আগে শরীর ও মন ভাল থাকলেই আপনার চুল হোক কিংবা ত্বক, সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবেই।