ছবি: সংগৃহীত।
১৩ নম্বরটিকে নিয়ে অনেকের মনে খুঁতখুঁতানি আছে। এই সংখ্যাটি নিয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করা হয়। সংখ্যাতত্ত্ব অনুসারে ১৩ নম্বরটি অশুভ বলে ধরা হয়। অনেকে একে দুর্ভাগ্যের প্রতীকও মনে করেন। তাই অনেকেই হোটেলের ১৩ নম্বর ঘরে থাকতে চান না। দুর্ভাগ্যের সমার্থক হিসাবে বিবেচিত হয় এই সংখ্যাটি। এই বিষয়টি মাথায় রেখে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বহু হোটেলেই ১৩ নম্বর ঘরটি বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক হোটেল আবার আরও এক ধাপ এগিয়ে শুধু ঘর নয়, হোটেলের ১৩ নম্বর তলাটিই পুরোপুরি বাদ দিয়ে দিয়েছে। এমনকি, লিফ্টের মধ্যেও ১৩ নম্বর ব্যবহার করা হয় না। ১৪ সংখ্যাটি থেকে আবার ক্রমানুসারে ব্যবহার করা হয়। এই কারণে অনেক ক্ষেত্রে লিফ্টে ১২-র পর সরাসরি ১৪ তলায় যেতে বোতাম টিপতে হয়।
কিন্তু কী সেই রহস্য, যা ১৩ নম্বরের আড়ালে লুকিয়ে আছে?
বলা হয়, এই ১৩ নম্বরের প্রতি ভয়ের নেপথ্যে রয়েছে একটি রোগ, ট্রিস্কাইডেকাফোবিয়া। ১৩ সংখ্যার প্রতি ভীতি। অনেকের বিশ্বাস, ১৩ নম্বরটি অত্যন্ত অশুভ। অনেকেই আবার একে ভৌতিক সংখ্যা মনে করেন। তাঁদের দাবি এই সংখ্যার সঙ্গে অলৌকিক বা ভূত-প্রেতের অশুভ যোগ রয়েছে। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি দেখলেই উদ্বেগ বাড়তে থাকে, ঘাম হয়, স্নায়বিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সংখ্যা দেখে তাঁদের হৃৎস্পন্দন দ্রুত হয়ে যায়।
বহুতলগুলি তৈরির পর তা থেকে হঠাৎ করে ১৩ তলা অদৃশ্য করে দেওয়া সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে হোটেল মালিকেরা এই তলের নামটাই পাল্টে দেন। কখনও নাম দেওয়া হয় ১২এ অথবা ১৪এ। অনেক জায়গায় আবার ১২তম তলার পরে সরাসরি ১৪ তলা আসে।
পশ্চিমি সংস্কৃতিতে পুরাকাল থেকেই সংখ্যাটির সঙ্গে খারাপ ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে। খ্রিস্টান মত অনুযায়ী, ‘দ্য লাস্ট সাপার’-এর সঙ্গেও এই সংখ্যাটি জড়িত। কেউ কেউ বলেন, যিশু নাকি সে দিন ১৩ নম্বর আসনে বসেছিলেন। যদিও বাইবেলে এর কোনও উল্লেখ নেই।