সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে নিজের সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন এক বিদেশি পরিচারিকার। ছবি: সংগৃহীত।
ভাষা যেমন ভাব বিনিময় করতে পারে, তেমনই গোলমেলে পরিস্থিতিতে তৈরি করতে পারে বিভ্রান্তি। প্রবাসী ভারতীয় পরিবারে কর্মরত এক বিদেশি পরিচারিকার সেই অভিজ্ঞতা হয়েছে। ভাষার গন্ডগোলে আদরের ভারতীয় ডাক নামকে অপমান ভেবে বসেছিলেন তিনি।
সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে নিজের সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ওই পরিচারিকা। তাঁর পোস্ট দেখে কাঁদবেন না হাসবেন ভেবে উঠতে পারছেন না ভারতীয়রা। বিদেশিনী পরিচারিকার এই বিভ্রান্তি যে অন্য কোনও বড় সমস্যা আকার নেয়নি এতেই আশ্বস্ত বোধ করেছেন তাঁরা।
ওই পরিচারিকা এখন আর ওই ভারতীয় পরিবারে কাজ করেন না। তবে বেশ কয়েকবছর আগে ওই পরিবারের এক সদ্যোজাত শিশুর দেখাশোনা করার জন্য নিয়োগ করা হয় তাঁকে। শিশুটি একটু বড় না হওয়া পর্যন্ত ওই পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। সেই সময় তিনি খেয়াল করে দেখেছিলেন, যখন ওই পরিবারে বয়ঃজ্যেষ্ঠ কেউ বেড়াতে আসতেন, তাঁরা তাঁদের সন্তানদের বেটা বলে ডাকতেন। সেখান থেকেই বিভ্রান্তির শুরু।
হিন্দিতে ‘বেটা’ শব্দটি অনেকটা বাংলার ‘বাবা-বাছা’-র ঢঙে বলা হয়। সন্তানকে আদর করে ও ভাবে ডাকেন বাবা-মায়েরা। কিন্তু বিদেশি পরিচারিকার তা জানার কথা নয়। বেটা শব্দটি ইংরেজি শব্দকোষেও রয়েছে। সাধারণত, যার অর্থ দ্বিতীয় স্তরের বা দ্বিতীয় শ্রেণির। আর এর বিপরীত শব্দ ‘আলফা’ বলতে বোঝানো হয় তাঁকে, যিনি বা যা প্রাধান্যের দিক থেকে সর্বাগ্রে। ওই পরিচারিকা তাই ভুলবশত ভেবেছিলেন বেটা বলে পরিবারটিকে হেয় করা হচ্ছে।
পরে অবশ্য একদিন সাহস করে প্রশ্নটি করেই ফেলেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন শুনে হাসির রোল ওঠে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। তাঁরা গোটা ব্যাপারটি বুঝিয়ে বলতে কিছুটা লজ্জাতেই পড়েন ওই পরিচারিকা। ভিডিয়োটি তিনি শেষ করেছেন সেই সুখস্মৃতির কথা বলেই।
তবে তাঁর কথা শুনে নেটাগরিকদের অনেকে বলেছেন, এই বিভ্রাট যে বাড়ি থেকে পুলিশ স্টেশনে গিয়ে পৌঁছায়নি এই অনেক। কে না জানে পুলিশ ছুঁলে ১৮ ঘা!