টুইটারে এই ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে ‘নেচার ইজ় অ্যামেজ়িং’ নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে। ছবি : টুইটার।
রাগ-অনুরাগ, মান-অভিমানে কি একা মানুষেরই আধিপত্য? না কি জীব জগতের অন্য প্রাণীদের মধ্যেও গড়ে উঠতে পারে সম্পর্ক, হতে পারে প্রেম বিনিময়? দুই ক্যাঙারুর ‘একান্ত মুহূর্তের’ একটি ভিডিয়ো দেখে মাথা চুলকে ভাবতে বসেছেন নেটাগরিকেরা। ভিডিয়োর ওই পুরুষ এবং স্ত্রী ক্যাঙারুর শরীরী ভাষা দেখে তাদের মনে হয়েছে, আরে এমনটা তো সাংসারিক জীবনের নিত্যদিনের দৃশ্য! স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য কলহের পর তো এ ভাবেই চলে মান অভিমান ভাঙানোর পালা!
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে একটি পুরুষ এবং একটি স্ত্রী ক্যাঙারুকে। পুরুষটি দৃশ্যতই ক্ষুণ্ণ। তার সামনে এ করকম অনুনয়-বিনয় করতে দেখা যাচ্ছে স্ত্রী ক্যাঙারুকে। প্রথমে সঙ্গীর হাতটি নিজের হাতে নিয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিল সে। তার পর সেই হাতে চুম্বন করার মতো করে মুখ ছোঁয়াতেই পুরুষ ক্যাঙারু হাত দিয়ে ঠেলে সরিয়ে দেয় তাকে। তবে তিরস্কৃত হয়েও হাল ছাড়েনি ক্যাঙারু সঙ্গিনী। পরের দৃশ্যেই তাকে দেখা যায় পুরুষটির বুক হাত রাখতে। সঙ্গিনীর এই আচরণে পুরুষ ক্যাঙারুর চোখও যেন কিছুটা দ্রব। মুখের ভাবে সামান্য বদল হয় তার। ভিডিয়োটি এখানেই শেষ হয়েছে। ফলে তার পরে কী হয় তা জানা যায়নি। তবে দুই ক্যাঙারুর এই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে সমাজ মাধ্যমে।
ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। টুইটারে এই ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে ‘নেচার ইজ় অ্যামেজ়িং’ নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে। সেই ভি়ডিয়ো ইতিমধ্যেই ৯৫ লক্ষ বার দেখা হয়ে গিয়েছে। লাইক করেছেন লাখ খানেক টুইটার ব্যবহারকারী। শেয়ার করেছেন প্রায় ১৪ হাজার মানুষ। পোস্টের নীচে দু’জনের কাল্পনিক কথোপকথন ভেবে মজাও পেয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ।
এক জন লিখেছেন, ‘‘মেয়েটি বলছে, ‘আমি সত্যিই জানতাম না ও তোমার ভাই! প্লিজ ক্ষমা করে দাও’। কিন্তু এ অপরাধের ক্ষমা নেই! (হাসির ইমোজি)’’। আরএক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘সামলে ভাই! এ বার তো গার্হস্থ্য হিংসার দায়ে পড়বে।’’ এক নেটাগরিক আবার প্রশ্ন করেছেন, ‘‘নিশ্চয়ই আবার শপিং করতে গিয়ে ক্রেডিট কার্ডের বিল বাড়িয়ে দিয়েছেন উনি!’’ তবে অনেকে আবার ক্যাঙারুদের মনুষ্যোচিত হাব ভাব দেখে তাদের পোষ্য হিসাবেও পাওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন।