viral video

প্রেমে মজে দেশ ছেড়ে ভারতে এসে অঘোরিকে বিয়ে রুশ তরুণীর! সম্পর্ক নিয়েই প্রশ্ন সমাজমাধ্যমে

সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভাইরাল ভিডিয়োয় দাবি করা হয়েছে, রাশিয়ান যুবতী ভারতীয় অঘোরির প্রেমে এতটাই গভীর ভাবে জড়িয়ে পড়েছিলেন যে তিনি তাঁর দেশ ছেড়ে এ দেশে বসবাস করা শুরু করে দিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫২
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

এক কুম্ভ, শতেক কাহিনি। বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ মহাকুম্ভে পুণ্যস্নানের পাশাপাশি নজর কেড়েছে নানা অদ্ভুত ঘটনা। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে যা নিয়ে তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছে সমাজমাধ্যমে। এক অঘোরি সাধু ও এক রাশিয়ান মহিলার প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে নেটাগরিকদের মধ্যে। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভাইরাল ভিডিয়োয় দাবি করা হয়েছে, রাশিয়ান যুবতী ভারতীয় অঘোরির প্রেমে এতটাই গভীর ভাবে জড়িয়ে পড়েছিলেন যে তিনি তাঁর দেশ ছেড়ে এ দেশে বসবাস করা শুরু করে দিয়েছেন। যদিও সেই ভাইরাল ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

Advertisement

এই অস্বাভাবিক প্রেমের গল্প অনলাইনে কৌতূহলের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ অঘোরিরা পার্থিব সম্পদ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এক গোপনীয় জীবনযাপন করেন বলে মনে করা হয়। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় রাশিয়ান যুবতী অঘোরি সাধুকে নিজের স্বামী বলে দাবি করেছেন। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতভ্রমণে এসে অপ্রত্যাশিত ভাবে এক জন অঘোরি সাধুর প্রেমে পড়ে যান তিনি, এমনটাই দাবি ওই রাশিয়ান তরুণীর। এর পরে তিনি জন্মভূমি ছেড়ে ভারতেই থাকার সিদ্ধান্ত নেন। হিন্দু ধর্মকে ভালবেসে নিজের পিঠ জুড়ে গণেশের ট্যাটুও করান ওই তরুণী।

অঘোরি বাবার পরিচয় বা বিয়েটি আসল কি না সে সম্পর্কে ভিডিয়োয় কোনও উল্লেখ করা হয়নি। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে এক যুবক দম্পতির সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। বিয়ে করে সাধনায় কোনও বিঘ্ন ঘটেছে কি না তা ওই সাধুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনও জবাব না দিয়ে কেবল হাসি উপহার দিয়েছেন। অঘোরি সাধু ও এক রাশিয়ান মহিলাকে একটি মোটরবাইকে চড়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে ভিডিয়োয়। ভিডিয়ো দেখে নেটমাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনেকেই অঘোরি সাধুর আসল পরিচয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে, অঘোরিদের জগৎ রহস্যময় এবং কঠোর অনুশীলনে ভরা। তাঁরা পার্থিব আসক্তি পরিত্যাগ করে কঠোর আধ্যাত্মিক পথ গ্রহণ করেন। তাঁদের কঠোর অনুশাসনের কারণে অনেকেই এই বিয়ের সত্যতা নিয়ে সন্দিহান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement