ছবি: সংগৃহীত।
বিয়ের পর থেকে স্বামী ও স্ত্রী সহবাস করেননি কোনও দিন। বিয়ে হয়েছিল ২০২২ সালের জুন মাসে। তার পর থেকেই বনিবনা হত না দম্পতির। বিয়ের পর তরুণী কোনও রকম শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে চাননি বলে বার বার অভিযোগ করেছিলেন স্বামী। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে চলত অশান্তি। তরুণী প্রায়শই তাঁর বাবা-মায়ের বাড়িতে চলে যেতেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাপের বাড়ি ফিরে যান তরুণী। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বহু উপরোধ অনুরোধের পর স্ত্রীকে বাড়ি ফিরতে রাজি করান উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলার বাসিন্দা ওই তরুণ। তার পরেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁর।
এপ্রিল মাসে পেটে ব্যথা শুরু হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তরুণীকে। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, তরুণী ১৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। বিশ্বাস না হওয়ায় একাধিক চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করেন তরুণ। কিন্তু সবাই একই কথা জানান তরুণকে। এ ব্যাপারে তরুণীকে চেপে ধরা হলে তিনি স্বীকার করে নেন হবু সন্তানের পিতা তাঁর স্বামী নন। এই কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর বচসা ও কথা কাটাকাটি শুরু হয় দু’জনের মধ্যে। অভিযোগ, এরই মাঝে তরুণী হুমকি দিতে শুরু করেন যে, তাঁর গর্ভের সন্তানকে নিজের সন্তান বলে মেনে নিতে হবে ওই তরুণকে। নচেৎ তিনি স্বামীকে খুন করে দেবেন অথবা মিথ্যা পণের মামলায় ফাঁসিয়ে দেবেন। স্বামীর অভিযোগের পর এই বিষয়ে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে এবং তরুণীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। মহারাজগঞ্জ থানা জানিয়েছে যে, একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং বর্তমানে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
ঘটনার কথা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই পোস্টে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। আইনে লিঙ্গ সমতার প্রয়োজনের কথা জানিয়েছেন অনেকেই। তাঁদের দাবি, পক্ষপাতমূলক আইন বাতিল করে লিঙ্গ নিরপেক্ষ আইন আনা হোক। এর ফলে লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল নাগরিকই সমান সুবিধা পাবেন বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তাঁরা।