—প্রতীকী ছবি।
অফিস থেকে মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু ছুটি কাটিয়ে যখন তিনি কাজে ফিরেছিলেন, তখন আবার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি। তা জেনেই নাকি সংস্থার তরফে চাকরি থেকে বরখাস্ত দেওয়া হয় তরুণীকে। এমনটাই দাবি করেন ব্রিটেনের বাসিন্দা নিকিতা টুইচেন।
ব্রিটেনের আদালতে নিকিতা অভিযোগ করেন যে, ২০২২ সালের গোড়ার দিকে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর জেরেমি মরগ্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন তিনি। মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটানোর পর কাজে ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি। জেরেমি উৎসাহ নিয়ে নিকিতার সঙ্গে কথাবার্তাও বলেছিলেন। কিন্তু কথাবার্তার মধ্যেই নিকিতা জানিয়েছিলেন যে, তিনি আবার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। তার পর হাবভাব পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল জেরেমির।
নিকিতার দাবি, জেরেমি পরে তাঁকে মেল করে জানিয়েছিলেন যে, তাদের সংস্থার লোকসান হচ্ছে। এমনকি, নতুন সফ্টঅয়্যার তৈরির সময় নিকিতা কোনও রকম ভাবেই সাহায্য করতে পারবেন না বলেও জানিয়েছিলেন জেরেমি। সেই সময় আদালতের দ্বারস্থ হন নিকিতা। তাঁর অভিযোগ, নিকিতার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানতে পেরেই তাঁকে না জানিয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আদালতে মামলা চলাকালীন প্রমাণিত হয়, জেরেমির সংস্থা বিগত কয়েক মাসে লোকসানের মুখ দেখেনি। বরং লক্ষ্মীলাভই হয়েছে সংস্থার। নিকিতা মাতৃত্বকালীন ছুটি নেওয়ার পর আবার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন। সেই খবর জানতে পেরেই না জানিয়ে অসত্য বলে নিকিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিলেন জেরেমি। আদালতে তা প্রমাণিত হলে নিকিতাকে ৩০ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়।