দু’টিই ঘোড়াই রেসের মাঠে দৌড়েছে দীর্ঘদিন। কিন্তু ছেঁকে ধরা মৌমাছির ঝাঁকের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া বোধ হয় তাদের পক্ষেও সহজ ছিল না। অনেক লাফিয়ে, দৌড়ে, ছটফটিয়েও নিস্তার মেলেনি শেষ পর্যন্ত। হাজার হাজার মৌমাছি মাথা থেকে পা পর্যন্ত ছেঁকে ধরে তাদের। হুলের দাপটে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পরে পূর্ণবয়স্ক ঘোড়া দু’টিও।
কর্নাটকের ঘটনা। ঘোড়া লালন পালনের একটি খামারের রাখা ছিল রেসের ঘোড়া দু’টিকে। একটির বয়স ১০। অন্যটির ১৫। দু’টিই রেসের মাঠের ঘোড়া। অবসর নেওয়ার পর তাদের কিনে নেয় ভারতের এই ঘোড়া লালন পালনের সংস্থাটি। দু’কোটি টাকারও বেশি অর্থ ব্যয় করে কেনা হয় ঘোড়া দু’টিকে। উদ্দেশ্য ছিল ভাল জাতের ঘোড়ার বংশ বিস্তার। ২০১৩ সালে আমেরিকা থেকে কেনা হয় ‘এয়ার সাপোর্ট’ নামের ঘোড়াটিকে। ২০১৮ সালে আয়ারল্যান্ড থেকে ভারতে আসে ‘সানুস পার অ্যাকোয়াম’। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার সময় ১০ বছরের সানুস মৌমাছির কামড়ে মারা যায়। পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ মৃত্যু হয় ‘এয়ার সাপোর্ট’-এর।
ওই খামারের ম্যানেজার দীনেশ এনএম জানিয়েছেন, দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ মৌমাছিদের ঝাঁকটি হামলা করে খামারে। তার মিনিট দশেকের মধ্যেই পৌঁছে যান কর্মীরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও উদ্ধার করা সম্ভাব হয়নি ঘোড়া ২টিকে। কারণ তত ক্ষণে ঘোড়াগুলির মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে ফেলেছে মৌমাছিরা, যন্ত্রণায় পাগলের মতো লাফাচ্ছে, ছুটছে ঘোড়া ২টি। ফলে ঘোড়া ২টির কাছে পৌঁছতে পারেননি তাঁরা। পরে মৌমাছি গুলোকে কোনও মতে তাড়ানো সম্ভব হলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি ঘোড়া ২টিকে। দীনেশ জানিয়েছেন, ভাল জাতের বিদেশি ঘোড়া ২টিকে বংশবিস্তারের জন্যই নিয়ে আসা হয়েছিল। এয়ার সাপোর্ট মোট ২০০টি ঘোড়ার জন্ম দিয়েছে। সানুস জন্ম দিয়েছে ৭৫টি ঘোড়ার।