কিনমেমাই চাল। —প্রতীকী ছবি।
জাপানি স্টিকি রাইসের কদর সারা বিশ্বে। পাশাপাশি এই দেশে উৎপন্ন হওয়া আরও একটি চাল স্থান পেয়েছে বিশ্বের মানচিত্রে। তা হল কিনমেমাই চাল। যা বিশ্বের সবচেয়ে দামি চাল বলে ধরা হয়। কিনমেমাইকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি চাল বলে আখ্যা দেয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসও। সাধারণ চালের তুলনায় কিনমেমাই যেমন স্বাদে অতুলনীয় তেমনই পুষ্টিগুণে ঠাসা এই চালটি। ভারতে সাধারণত মাঝারি ও ভাল মানের চালের দাম প্রতি কেজি প্রায় ১০০-২০০ টাকা হতে পারে। সেখানে এক কেজি কিনমেমাই চাল কিনতে হলে গুনতে হবে প্রায় কড়কড়ে ১৫ হাজার টাকা। সাধারণত ১৪০ গ্রামের ছয়টি প্যাকেট নিয়ে একটি বাক্সে ভরে বিক্রি করা হয়। এক একটি বাক্সের দাম পড়ে প্রায় ১৩ হাজার টাকা। একটি বিলাসবহুল মোড়কে বিশেষ গ্রাহকদের কাছেই রফতানি করা হয় চালটি। চালটি না ধুয়েই সরাসরি রান্না করা যায়।
এই ধান আমাদের দেশে উৎপাদিত হয় না বলে সহজলভ্য নয় ভারতে। কিনমেমাই চাল টয়ো রাইস কর্পোরেশন নামের একটি সংস্থাই একচেটিয়া ভাবে উৎপাদন করে। এই জাপানি ধানের মোট ৫টি জাত তৈরি করা হয়েছিল ১৭ বছর আগে। বলা হয় এই চালের স্বাদ বাদামের মতো। যদিও দাবি করা হয়, এই চালে ৬ গুণ বেশি লাইপোপলিস্যাকারাইড আছে, যা স্বাভাবিক ভাবেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কৃষকদের কাছ থেকে সাধারণ ধানের চেয়ে আট গুণ দাম দিয়ে এই ধান সংগ্রহ করা হয়। আর রং, স্বাদ, গন্ধ ও দরকারি খাদ্য উপাদান অক্ষত রাখতে চাল ছয় মাস সংরক্ষণের যে কৌশল অবলম্বন করা হয়, তা উদ্ভাবন করা হয়েছে কমপক্ষে ১৭ বছর আগে।