দৈত্যাকার ‘বাহুবলী’ শিঙাড়া হাতে মিরাটের মিষ্টি ব্যবসায়ী শুভম কৌশল। ছবি: সংগৃহীত।
সময় পাবেন আধ ঘণ্টা। তার মধ্যে সাবাড় করতে হবে মোটে একটি শিঙাড়া। তবে সেই ‘বাহুবলী’ শিঙাড়ার ওজন ১২ কেজি! ৩০ মিনিটের মধ্যে তা চেটেপুটে সাফ করলে তবেই পকেটে ঢুকবে ৭১ হাজার টাকা। এমন চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন উত্তরপ্রদেশের মিরাটের এক মিষ্টি ব্যবসায়ী। সমাজমাধ্যমে এ খবর ছড়াতেই তা নিয়ে বেশ হইচই শুরু হয়েছে।
মিরাটের লালকুর্তি এলাকায় মিষ্টির দোকান রয়েছে শুভম কৌশলের। তিন প্রজন্ম ধরেই মিষ্টি তৈরি করছেন তাঁরা। হরেক মিঠাইয়ের সঙ্গে সে দোকানে কচুরি, শিঙাড়াও পাওয়া যায়। তবে শুভম জানিয়েছেন, এ যে-সে শিঙাড়া নয়। নামের মতোই ওজনেও ‘বাহুবলী’। এ শিঙাড়ার পুরের ওজনই ৭ কেজি। তাতে মশালামাখানো আলুসিদ্ধর মধ্যে মেশানো হয়েছে কড়াইশুঁটি, পনির এবং ড্রাই ফ্রুটস।
‘বাহুবলী’ শিঙাড়া তৈরিতেও বেশ কসরত করতে হয়। শুভম জানিয়েছেন, একটি শিঙাড়ার তৈরিতে সময় লাগে ৬ ঘণ্টা। শুধুমাত্র ভাজার জন্যই ঘণ্টা দে়ড়েক চলে যায়। শিঙাড়া ভাজার কাজে তিন জন কারিগরকে দেখাশোনা করতে হয়।
স্বাভাবিক ভাবেই এ শিঙাড়ার দামও কম নয়। একটি ‘বাহুবলী’ শিঙাড়ার জন্য দেড় হাজার টাকা খসাতে হবে। তবে শুভমের দাবি, কেক নয়, আজকাল জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ১২ কেজির ‘বাহুবলী’ শিঙাড়া কাটছেন মিরাটবাসী! তবে তাঁর চ্যালেঞ্জ, আধ ঘণ্টায় ‘বাহুবলী’ শিঙাড়া সাবাড় করলেই পেয়ে যাবেন ৭১ হাজার টাকা। তাঁর কথায়, ‘‘সমাজমাধ্যমে তো বটেই, খাদ্যরসিকদেরও নজর কেড়েছে আমাদের ‘বাহুবলী’ শিঙাড়া। এলাকার লোকজন ছাড়া অন্য রাজ্য থেকেও এর অর্ডার আসছে।’’ এখনও পর্যন্ত ৪০-৫০টি অর্ডার পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ হেন দৈত্যাকার শিঙাড়া তৈরি করা শুরু করলেন কেন? সংবাদমাধ্যমের কাছে শুভম বলেন, ‘‘শিঙাড়া নিয়ে অন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম। সে জন্য ‘বাহুবলী’ শিঙাড়া তৈরি করি। প্রথমে ৪ কেজির শিঙাড়া তৈরি করতাম। এর পর তার ওজন বাড়িয়ে ৮ কেজি করি। সেগুলো বেশ পছন্দ হয়েছিল লোকজনের। এর পর ১২ কেজির শিঙাড়া তৈরি করি।’’