প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নেকড়ের প্রাণ বাঁচালেন পশুপ্রেমী। ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
প্রাণ বাজি রেখে প্রাণ বাঁচিয়ে নায়কের তকমা পেলেন। যদিও যে কাজ তাঁকে রাতারাতি নায়ক বানিয়ে দিল, তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চান না। সমাজমাধ্যমে চূড়ান্ত ভাইরাল তাঁর কাণ্ডের ভিডিয়ো। যেখানে দেখা যাচ্ছে ফাঁদে পড়া একটি অতিকায় নেকড়েকে কী ভাবে নিজের প্রাণ বাজি রেখে বাঁচাচ্ছেন তিনি।
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিয়ো। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কোনও এক অরণ্যে পাতা একটি ফাঁদে পড়েছে বিশাল একটি নেকড়ে। কোনও ভাবেই ফাঁদ এড়িয়ে বেরোতে পারছে না সে। এমন সময় সেখানে পৌঁছন এক ব্যক্তি। হাতে বনেবাদাড়ে চলাচলের উপযোগী একটি লাঠি। ওই ব্যক্তি এক ঝলকেই বুঝতে পারেন, নেকড়েটি ফাঁদে আটকে পড়েছে। তার পর শুরু হয় ফাঁদ কেটে নেকড়েকে বার করার পালা।
ওই ব্যক্তির হাতের লাঠিটি দেখে ঘাবড়ে যায় জানোয়ারটি। তার মনে হয়েছিল, ওই লাঠি দিয়েই বুঝি তার উপর আক্রমণ শানাতে আসছে ওই ব্যক্তি। প্রাণপণে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করে নেকড়েটি। পা ফাঁদে আটকে থাকায় তাতেও খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি অতিকায় জানোয়ারটি। বেশ কয়েক বার ওই ব্যক্তিকে কামড় দেওয়ারও চেষ্টা করতে দেখা যায় নেকড়েটিকে। কোনও মতে নেকড়ের গ্রাস থেকে নিজেকে বাঁচান লাঠি হাতে ওই ব্যক্তি। বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেও যখন নেকড়েটিকে ছাড়াতে পারলেন না ওই ব্যক্তি, তখন বাধ্য হয়ে চরম পদক্ষেপ করেন। দেখা যায়, হাতের লাঠি দিয়ে নেকড়েটির মুখ আটকে ধরা হয়েছে। নেকড়ে যাতে কোনও ভাবেই কামড়ে দিতে না পারে। অনেক চেষ্টার পর এক হাত দিয়ে নেকড়ের সামনের পা থেকে ফাঁদের অংশ খুলে নেন তিনি। নেকড়ের পা থেকে ফাঁদ আলাদা করার পরই অবশ্য এক লাফ দিয়ে দূরে সরে যেতে দেখা যায় ওই ব্যক্তিকে। যাতে ছাড়া পাওয়া নেকড়ে তাঁর উপরেই ঝাঁপিয়ে না পড়ে।
মুক্তি পাওয়া নেকড়ের অবশ্য তেমন মতিগতি ছিল না। মুক্তি পেয়ে খানিক তাকিয়ে থেকে বনের ভিতরে ছুটে পালায় নেকড়েটি। আনন্দবাজার অনলাইন ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। কিন্তু যে ভাবে নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ওই ব্যক্তি নেকড়েটিকে বাঁচালেন, তা দেখে তারিফ করছেন মানুষ। আর রাতারাতি নায়ক হয়ে যাওয়া ওই ব্যক্তি বলছেন, ‘‘চোখের সামনে নেকড়েটির ওই অবস্থা দেখে তাকে মুক্তি দিতে গিয়েছিলাম। ভবিষ্যতে এমন দেখলে একই কাজ করব।’’