ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
কোচিং সেন্টারের দরজার বাইরে পড়েছিল একটি খাম। খামের উপর কোনও নাম-ঠিকানা লেখা ছিল না। খামটি হাতে পড়ে কোচিং সেন্টারের অধিকর্তার। খাম খুলে তিনি দেখেন, ভিতরে রয়েছে একটি পেন ড্রাইভ। পেন ড্রাইভটি কম্পিউটারে লাগাতেই একটি ভিডিয়ো ফাইল খুলে যায়। ভিডিয়োটি চালু করতেই চমকে যান কোচিং সেন্টারের অধিকর্তা। এ যে তাঁর পরিচিত মুখ! তাঁর কোচিং সেন্টারের ভিতরেই এক ছাত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন সেই তরুণ।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের কানপুরের একটি কোচিং সেন্টারের। সেই কোচিং সেন্টারে জীববিদ্যা পড়ান সাহিল সিদ্দিকি। কোচিং সেন্টারের ভিতর এক ছাত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে দেখা যায় সাহিলকে। সেই সিসিটিভি ফুটেজ পেন ড্রাইভে ভরে কোচিং সেন্টারের বাইরে রেখে গিয়েছিলেন কেউ। বেনামি খাম পড়ে থাকতে দেখে তা খুলে দেখেন কোচিং সেন্টারের অধিকর্তা। পেন ড্রাইভে পাঠানো সেই ভিডিয়োটি দেখে সাহিলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সমাজমাধ্যমে সেই সিসিটিভি ফুটেজের দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, এক ছাত্রীকে বুকের কাছে টেনে জড়িয়ে ধরছেন সাহিল। তার পর ছাত্রীর মাথায় চুমুও খেলেন তিনি। কিছু ক্ষণ খোশমেজাজে গল্প করার পর আবার ছাত্রীর এক গালে চুমু এঁকে দিলেন সাহিল। কয়েক মুহূর্ত একসঙ্গে সময় কাটানোর পর খোশমেজাজে গল্প করতে করতে ঘর থেকে বেরিয়ে যান শিক্ষক-ছাত্রী দু’জনেই। এই ভিডিয়োটি দেখে সাহিলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কোচিং সেন্টারের অধিকর্তা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সাহিলকে গ্রেফতার করেছে কানপুর পুলিশ।