Wedding

সাত পাক ঘোরার ঠিক আগের মুহূর্তে এল রহস্যময় ফোন! তার পরেই মতবদল বরের

হই হই করে বরযাত্রীদের নিয়ে কনের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন বর। ঘটনাটি ঘটার বেশ কিছু ক্ষণ আগে বর কণের মালাবদলও হয়ে গিয়েছিল। বাকি ছিল সাত পাক ঘোরা আর সিঁদুর দানের রীতি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৩ ২০:৫৪
Share:

ঘটনাটি ঘটেছে  রাজস্থানের দৌসায়। প্রতীকী ছবি।

ঝলমল করছিল বিয়েবাড়ি। সব কিছুই চলছিল নিয়ম মাফিক। আচমকা বরের মোবাইলে আসা একটা ফোন মুহূর্তে তছনছ করে দিল ঝলমলে ছবিটা। সাত পাক না ঘুরেই মণ্ডপ ছেড়ে নেমে এলেন পাত্র। পাত্রী হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন সেখানে। কয়েক মুহূর্তে পাত্র এবং পাত্রীর পরিবারের মধ্যে শুরু হল তুমুল বচসা আর হাতাহাতিও।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের দৌসায়। গত সোমবার দৌসার নঙ্গল-মীনা গ্রামে ছিল ওই বিয়ের অনুষ্ঠান, যে বিয়ে শেষ পর্যন্ত হয়নি। উল্টে মাঝ রাতে কনের বাড়ির লোক বরের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে হাজির হয়েছেন থানায়। বিচার চেয়েছেন মেয়ের জন্য।

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার হই হই করে বরযাত্রীদের নিয়ে কনের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন বর। ঘটনাটি ঘটার বেশ কিছু ক্ষণ আগে বর কণের মালাবদলও হয়ে গিয়েছিল। বাকি ছিল সাত পাক ঘোরা আর সিঁদুর দানের রীতি। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে হাসিমুখে বিয়ে দেখছিলেন দুই বাড়ির সদস্যরা। সাত পাকে ঘোরার জন্য বরকে মণ্ডপে ডাকা হয়। পাশাপাশি বসানো হয় বর-কনেকে। তখনই আসে সেই ফোন।

Advertisement

পাত্র ফোনের কথা শুনে মণ্ডপ থেকে নেমে আসেন এবং জানিয়ে দেন বিয়ে করবেন না। অনেক বুঝিয়েও তাঁকে রাজি করানো যায়নি। পরে এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে হঠাৎই বেঁধে যায় সংঘর্ষ। শেষে পুলিশের কাছে যান দু’পক্ষেই। অন্তে অবশ্য বিয়ে না এগোনোরই সিদ্ধান্ত নেয় পাত্র-পাত্রীর পরিবার। পাত্রীপক্ষের বিয়ের খরচও মিটিয়ে দেবে বলে জানায় পাত্রপক্ষ। যদিও রহস্যময় সেই ফোন কে করেছিলেন? কেনই বা ফোন শুনে পাত্র বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা শেষপর্যন্ত জানা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement