—প্রতীকী ছবি।
পাকাপাকি ভাবে কোনও সংস্থায় চাকরি পাচ্ছেন না বলে নিজের ব্যবসা শুরু করেছিলেন চাকরিপ্রার্থী। নিজের কাজ করার পাশাপাশি অন্য জায়গায় চাকরির আবেদনও করেছিলেন তিনি। একটি সংস্থায় চাকরির জন্য দু’টি পর্বে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তার পর ইন্টারভিউয়ের জন্যও সাতটি পর্বে ডাক পেয়েছিলেন ওই চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু এত সময় খরচ করার পর সেই প্রার্থীকে বাতিল করে দেয় সংস্থা। পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউ দিতে প্রচুর সময় অপচয় হয়েছে বলে দাবি করেন ওই চাকরিপ্রার্থী। সংস্থার আধিকারিককে ইমেল করে ক্ষতিপূরণ চান চাকরিপ্রার্থী। প্রার্থীর দাবি মেনে সে দিনই তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেন সংস্থার সিইও।
‘আর/রিক্রুটিংহেল’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। সেই পোস্টে উল্লেখ রয়েছে যে, এক জন চাকরিপ্রার্থী একটি সংস্থায় চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। দুই পর্বে পরীক্ষা নেওয়ার পর সাতটি পর্বে ইন্টারভিউও নেওয়া হয় তাঁর। প্রতিটি পর্বেই পাশ করেন সেই চাকরিপ্রার্থী। এমনকি, সংস্থার ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে বেতন নিয়েও কথাবার্তা হয়ে যায় তাঁর। তার পর সেই চাকরিপ্রার্থী জানতে পারেন যে, তিনি শেষ পর্যন্ত চাকরিটি পাননি।
তা জানার পর রেগে যান প্রার্থী। তাঁর দাবি, প্রথম পর্বের ইন্টারভিউ চলাকালীন তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি বেকার নন। নিজস্ব সংস্থা রয়েছে তাঁর। কী কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা-ও সংস্থার ঊর্ধ্বতনদের জানিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থী। তার পর আরও ছ’টি পর্বে ইন্টারভিউ দেন তিনি। চাকরিপ্রার্থী জানান, চাকরির জন্য তিনি সংস্থাকে যা সময় দিয়েছেন, তার মূল্য ফেরত চেয়েছেন তিনি। সংস্থার সিইওকে ইমেল করে সেই চাকরিপ্রার্থী ক্ষতিপূরণের দাবি করেন। চাকরিপ্রার্থীর দাবি মেনে তাঁকে তৎক্ষণাৎ সেই পরিমাণ অর্থ দিয়ে দেন সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তা।