—প্রতীকী ছবি।
শৌচালয়ে রক্তের দাগ লেগে থাকলে তা খুব সহজে কী ভাবে ধুয়েমুছে সাফ করা যায়? ফোনের স্ক্রিন থেকে আঙুলের ছাপ তুলতে চাইলে কী করে সম্ভব? এমন জটিল ভয় ধরানো সমস্যার সমাধান অনুগামীদের শেখান তরুণ নেটপ্রভাবী। নানা ধরনের রাসায়নিক বিক্রি করে উপার্জনও করছেন তিনি। আর এই সব করতে গিয়ে পড়লেন বিপাকে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তরুণ দক্ষিণ চিনের গুয়াংদং প্রদেশের বাসিন্দা। তরুণের নাম হুয়া (নাম পরিবর্তিত)। জৈবপ্রযুক্তি নিয়ে বহু দিন ধরে গবেষণা করছেন তিনি। কোন রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ করলে কঠিন দাগ মুছে ফেলা যায়, তা ভাল রপ্ত করে ফেলেছেন তিনি।
কখনও কখনও টুথপেস্ট এবং ভিনিগারের মতো সহজলভ্য ঘরোয়া জিনিসপত্র দিয়েও জাদু দেখাতে পারেন হুয়া। শৌচালয়ের মেঝে রক্তের দাগে ভরে গেলে তা কী ভাবে চটজলদি পরিষ্কার করা যায়, মোবাইল ফোনের স্ক্রিন থেকে আঙুলের ছাপ অদৃশ্য করতে চাইলে তা কী করে সম্ভব, এমনকি জামাকাপড় থেকেও রক্তের দাগ সহজে তোলার পদ্ধতি সমাজমাধ্যমে ভিডিয়ো পোস্ট করে শেখান হুয়া। তিনি ভিডিয়ো তৈরির সময় যে রাসায়নিক তরল ব্যবহার করেন সেটা আবার বিক্রিও করেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই রাসায়নিক তরলের ৩০০ বোতল বিক্রি করে ফেলেছেন তিনি। বোতল প্রতি দাম রেখেছিলেন ৩০ ইউয়ান (ভারতীয় মুদ্রায় যা ৪২৮ টাকা)।
৩০ মিনিটের মধ্যে শক্ত হাড় কী ভাবে গলিয়ে ফেলা যায় তা-ও হাতেনাতে করে দেখিয়েছেন হুয়া। দিনে দিনে হুয়ার অনুগামীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। কিন্তু এই নিয়ে সমালোচনার শিকার হন তরুণ। তিনি এই ভিডিয়োগুলি পোস্ট করে মানুষকে অপরাধের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন বলে দাবি করেছেন নেটাগরিকদের একাংশ।
আবার নেটব্যবহারকারীদের অধিকাংশ জানিয়েছেন, হুয়ার কাছ থেকে ঘরবাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ পাচ্ছেন তাঁরা। তবে নিজের ভিডিয়ো নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হুয়া। তাঁর যে সমস্ত ভিডিয়ো দেখে মনে হয়েছে যে, অপরাধ করে তা প্রমাণ লোপাটের ইঙ্গিত বহন করছে, সেই ভিডিয়োগুলি মুছে দেওয়া হয়েছে। হুয়ার বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।