—প্রতীকী ছবি।
ধীরে ধীরে সমস্ত ক্ষেত্রেই থাবা বসাতে শুরু করেছে কৃত্রিম মেধা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। এক দিকে কৃত্রিম মেধা যেমন নিশ্চিত ভাবে ভবিষ্যৎকে রূপ দিচ্ছে, জীবনকে আরও সহজ করে তুলছে, তেমনই এআই-এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও। উদ্ভাবন এবং ব্যবসা বৃদ্ধির নতুন নতুন দরজা খুলে দিয়েছে কৃত্রিম মেধা। যেমনটা হয়েছে চিনের অন্যতম বড় আদরপুতুল নির্মাতা সংস্থার সঙ্গে। সংস্থাটি ‘ওপেন-সোর্স জেনারেটিভ’ এআই নিয়ে কাজ করা শুরু করার পর তাদের আদরপুতুল বিক্রির সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। চিনা সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তেমনটাই।
‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘ডব্লিউএমডল’ নামে ওই সংস্থার তৈরি মডেলের আদরপুতুলে গত বছর থেকে কৃত্রিম মেধা যোগ করার পর থেকে সেই আদরপুতুলগুলির বিক্রি ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে ওপেনএআই-এর এআই চ্যাটজিপিটি চালু হওয়ার পরে পরেই তার সাফল্য দেখে নিজেদের আদরপুতুলগুলি এআই নিয়ন্ত্রিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওই সংস্থা। পরে বেশ কিছু পরীক্ষানিরীক্ষার পর ঝোংশান প্রদেশের ওই সংস্থা আদরপুতুলের মডেলগুলিতে এআই অন্তর্ভুক্ত করে।
‘ডব্লিউএমডল’-এর প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও লিউ জিয়াংজিয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আদরপুতুলগুলিকে আরও বাস্তবসম্মত এবং প্রতিক্রিয়াশীল করে তোলার জন্য এআই নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিকল্পনামাফিক কাজও হয়। এখন ব্যবহারকারীরা আদরপুতুল ব্যবহার করে আরও ভাল অভিজ্ঞতা পাচ্ছেন।’’ এআই-যুক্ত আদরপুতুলের মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার যে ঝুঁকি থাকে তা-ও উড়িয়ে দিয়েছেন লিউ। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে, গ্রাহকের তথ্য এমন ভাবেই সংরক্ষণ করা হয়েছে, যাতে ওই তথ্যগুলি সংস্থার কোনও কর্মীর হাতেও না আসে।
উল্লেখ্য, ‘ডব্লিউএমডল’-এর আদরপুতুলগুলির বাইরের অংশ ‘থার্মোপ্লাস্টিক ইলাস্টোমার’ বা ‘সিলিকন’ দিয়ে তৈরি। এর ভিতরে শক্ত ধাতব কঙ্কাল রয়েছে।