ছবি: সংগৃহীত।
রেললাইনে পড়ে অচৈতন্য এক যাত্রী। বৈদ্যুতিন লাইনের শক্ লেগে গোটা দেহে খিঁচুনি ধরেছে তাঁর। এ দৃশ্য দেখে আশপাশের যাত্রীরা চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে দিলেও ওই ব্যক্তিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি কেউ। ব্যতিক্রম, শিকাগোর এক যুবক! নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও রেললাইনে নেমে পড়েন তিনি। বেহুঁশ যাত্রীকে টেনে তুলে তাঁর প্রাণও বাঁচান। সম্প্রতি নেটমাধ্যমে আমেরিকার এক রেল স্টেশনের এ ভিডিয়োই ভাইরাল হয়েছে।
আমেরিকার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সহযাত্রীকে উদ্ধারের পর নায়কের সম্মান পাচ্ছেন টোনি পেরি নামে ২০ বছরের ওই যুবক। স্থানীয় মঞ্চে মিলেছে সংবর্ধনা-সহ একটি নতুন অডি এ৬ বিলাসবহুল গাড়ি। টোনি বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তি যে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন, তাতেই আমি খুশি। সত্যি বলতে কী, নিজেকে হিরো বলেও মনে করি না!’’
ঘটনার সময় অনেকেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ছোটাছুটি করেছেন। অনেকে আবার এই মর্মান্তিক দৃশ্য মোবাইল ক্যামেরাবন্দি করতে ব্যস্ত। তবে সহযাত্রীর চরম সঙ্কটে কাজের কাজটি করেছেন শিকাগোর বাসিন্দা টোনি। ৩৩ সেকেন্ডের ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, নীল জিন্স এবং সাদা টি-শার্ট পরা এক ব্যক্তি চিৎ হয়ে দু’টি রেললাইনে মধ্যে পড়ে রয়েছেন। ৬০০ ভোল্টযুক্ত বৈদ্যুতিন লাইনের শক্ লেগে জ্ঞানশূন্য। ওই অবস্থায় তাঁর দেহে প্রবল খিঁচুনি ধরেছে। এ দৃশ্য দেখা মাত্রই রেললাইনে নেমে পড়েন টোনি। লাফিয়েঝাঁপিয়ে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন। টোনির কথায়, ‘‘ওই লোকটির নিজের উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না... রেললাইনে নামার সময় শুনতে পেলাম, কে যেন বলছেন, ‘ওঁর গায়ে হাত দিয়ো না!’ আমি ওখান থেকে পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যেতে পারতাম। তবে তেমনটা করি, তা বোধ হয় ঈশ্বর চাননি।’’
কেন এ হেন কাজ করলেন? সংবাদমাধ্যমের এ প্রশ্নের জবাবে টোনি বলেন, ‘‘ওই পরিস্থিতিতে যদি আমি পড়তাম, তবে লোকজনের কাছে কী আশা করতাম?’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, এক সহযাত্রীর সঙ্গে মারপিট করার সময় রেললাইনে পড়ে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দু’জনেরই আঘাত লাগলেও টোনি যাঁকে উদ্ধার করেছেন তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।