ছবি: সংগৃহীত।
আকার শুধু নয়, বিমানের আকৃতিও নজরকাড়া। যেন আস্ত তিমি! তিমির মুখের মতোই বিমানের সামনের দিক সরু হয়ে এসেছে। মাথা এবং পেট যথারীতি ফোলা। তিমির আদলেই তৈরি করা হয়েছে এই বিমান। কলকাতায় প্রথম বারের মতো অবতরণ করল বৃহত্তম সেই বেলুগা বিমান। বেলুগা সিরিজের এই বিমানটির নাম বেলুগা এক্সএল। বেলুগা এক্সএল হল বেলুগা এসটির অত্যাধুনিক এবং বড় সংস্করণ। এর আগে, কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিল বেলুগা এসটি। বেলুগা এক্সএল বিমানটির কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের পরের ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরালও হয়েছে সেই ভিডিয়ো। একটি ভিডিয়ো আনন্দবাজার অনলাইনের হাতেও এসেছে।
দৈত্যাকার তিমির মতো দেখতে বেলুগা এক্সএল বিমানটি মঙ্গলবার তিন জন বিমানচালক এবং এক জন ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে বাহরিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। পাঁচ ঘণ্টা যাত্রা করার পর রাত ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ জ্বালানি ভরার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আবার চিনের তিয়ানজিনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বিমানটি। উল্লেখ্য, বেলুগা বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের মতো ব্যবস্থা পূর্ব ভারতে কেবল কলকাতা বিমানবন্দরেই রয়েছে। পেল্লায় এই বিমান দেখতে কলকাতা বিমানবন্দরে যাত্রীদের মধ্যে রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল। এত বড় বিমান সচরাচর দেখা যায় না। তা ছাড়া বিশাল সামুদ্রিক প্রাণীর আদলে তৈরি বেলুগার রূপও নজর কেড়েছে যাত্রীদের।
প্রসঙ্গত, এক-একটি বেলুগা বিমান তৈরিতে প্রায় তিন বছর সময় লাগে। ১৯৯২ সালে এই ধরনের বিমান তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে মালপত্র নিয়ে অন্তত ৬০ বার যাতায়াত করে বেলুগা। মূলত, বড় আকারের মালপত্র পরিবহণের জন্য বেলুগা ব্যবহৃত হয়। অন্যান্য মালবাহী বিমানের চেয়েও এই বিমান আকারে বড়। বিমানের নানা অংশও বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পরিবহণ করে থাকে বেলুগা। ইউরোপ এবং পশ্চিম দুনিয়ায় বেলুগার নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে। আকার এবং আকৃতির জন্য আকাশপথ পরিবহণে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ‘আকাশ-তিমি’ বেলুগা। অনেকে একে ‘সুপার ট্রান্সপোর্টার’ তকমাও দিয়েছেন। বেলুগার উন্নত সংস্করণ বেলুগা-এক্সএল ২০২০ সাল থেকে চালু হয়েছে। বেলুগা এক্সএল বিমানটি ৬৩.১ মিটার লম্বা। ডানা ৬০.৩ মিটার। এর মালবহনের ক্ষমতা প্রায় ৫১ টন।