Viral Video

পদযাত্রায় বেরিয়ে ট্রাকভর্তি মুরগি কিনলেন অম্বানী-পুত্র! নিয়ে যাবেন ‘বনতারা’য়, ভাইরাল ভিডিয়ো

জামনগর থেকে দ্বারকার উদ্দেশে হেঁটে রওনা দিয়েছেন অনন্ত। দ্বারকার মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করতে চান তিনি। প্রতি দিন ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার পথ হাঁটবেন অনন্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৫ ১২:০১
Share:

ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।

হাতে মুরগি ধরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন মুকেশ অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত অম্বানী। জামনগর থেকে দ্বারকা অভিমুখে পদযাত্রা করছেন তিনি। রাত হলেই কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে থাকা অম্বানী-পুত্র হাঁটতে শুরু করছেন। পাঁচ দিন আগে এই যাত্রা শুরু করেছেন তিনি। তবে মঙ্গলবার এক অন্য অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন অম্বানী-পুত্র। মাঝরাস্তায় হাতে মুরগি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল তাঁকে। সমাজমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। আনন্দবাজার ডট কমের হাতেও সেই ভিডিয়োটি এসেছে।

Advertisement

সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, হাতে মুরগি নিয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন অনন্ত। মঙ্গলবার দ্বারকার কাছে খাম্ভালিয়া শহরের উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন তিনি। তখন রাস্তায় ট্রাকভর্তি মুরগি নিয়ে যেতে দেখেন অম্বানী-পুত্র। ট্রাকের ভিতর বন্দি ছিল ২৫০টি মুরগি। মুরগিগুলিকে জবাই করার নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তা বুঝতে পেরে ট্রাকভর্তি মুরগি উদ্ধার করলেন অনন্ত।

২৫০টি মুরগির কত দাম তা জেনে নিলেন অম্বানী-পুত্র। অনন্তের সঙ্গে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষী-সহ তাঁর কয়েক জন কর্মী। ট্রাকভর্তি মুরগি কিনে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন অনন্ত। হাতে একটি মুরগি নিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক কর্মীকে সেই দাম মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি। সেই মুরগিগুলিকে ‘বনতারা’ নিয়ে যাবেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

আগামী ১০ এপ্রিল জন্মদিন অনন্তের। ত্রিশ বছরে পা দেবেন তিনি। তাই দ্বারকার মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করতে চান তিনি। জামনগর থেকে দ্বারকার উদ্দেশে হেঁটে রওনা দিয়েছেন অনন্ত। প্রতি দিন ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার পথ হাঁটবেন অনন্ত। জামনগর থেকে রওনা হওয়ার ১২ দিনের মধ্যে দ্বারকা পৌঁছোনোর কথা অম্বানী-পুত্রের। জামনগর থেকে দ্বারকার সড়কপথে দূরত্ব ১৪০ কিলোমিটার। গাড়িতে এই পথ যেতে প্রায় আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগার কথা। সেই পথ হেঁটেই পার করছেন অনন্ত। জামনগর থেকে রওনা দিয়েছেন তিনি।

চলতি বছরের মার্চ মাসে গুজরাতের জামনগরে বন্যপ্রাণী উদ্ধার, পুনর্বাসন এবং সংরক্ষণকেন্দ্র ‘বনতারা’র উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনন্ত এই বন্যপ্রাণ সংরক্ষণকেন্দ্রটি তৈরি করেছেন। বর্তমানে এই বন্যপ্রাণ সংরক্ষণকেন্দ্রে ২,০০০-এর বেশি প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। দেড় লক্ষেরও বেশি উদ্ধার হওয়া, বিপন্ন এবং বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের আশ্রয়স্থল এই ‘বনতারা’। এই উদ্যোগের মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন অম্বানীপুত্র অনন্ত এবং তাঁর সহযোগীরা। জামনগরের এই ‘বনতারা’ শুধু পশুদের আশ্রয়স্থলই নয়, এখানে রয়েছে প্রাণীদের চিকিৎসার বিভিন্ন সুব্যবস্থা।

বন্যপ্রাণীদের চিকিৎসার জন্য এখানে রয়েছে অ্যানেস্থেসিয়া, কার্ডিয়োলজি, নেফ্রোলজি, এন্ডোস্কোপি, ডেন্টিস্ট্রি, ইন্টারনাল মেডিসিন-সহ বিভিন্ন পৃথক বিভাগ।এই প্রাণী সংরক্ষণকেন্দ্রে পশুদের এমআরআই, সিটি স্ক্যান, আইসিইউ-সহ আরও অন্য সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিরল প্রজাতির প্রাণীদের পুনর্বাসিত করা হয়েছে ‘বনতারা’য়। এক সময়ে ভারতে প্রচুর ক্যারাকাল দেখা যেত, কিন্তু এখন তা প্রায় বিলুপ্তির পথে। এই প্রজাতির জন্য ‘বনতারা’য় একটি বিশেষ প্রজনন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই উদ্যোগে ক্যারাকালদের খাঁচাবন্দি দশায় প্রজননের পরিবর্তে বন্য পরিবেশে ছেড়ে রাখা হয়।

‘বনতারা’য় এশিয়াটিক সিংহ, স্নো লেপার্ড, একশৃঙ্গ গণ্ডার-সহ বিভিন্ন প্রাণীদেরও সংরক্ষণ করা হয় এখানে। রয়েছে বিশাল আকৃতির অজগর, বিরল দুই মাথাযুক্ত সাপ, দুই মাথাযুক্ত কচ্ছপ, টাপির, জায়ান্ট ওটার, হরিণ, সীল, শিম্পাঞ্জি, জেব্রা, জলহস্তী, জিরাফ ইত্যাদিও। ‘বনতারা’য় হাতিদের জন্য তৈরি একটি বিশেষ ‘জ্যাকুজ়ি’ (স্নানের ব্যবস্থা) রয়েছে। এখানে আর্থারাইটিস এবং পায়ের সমস্যায় আক্রান্ত হাতিদের চিকিৎসা করা হয়। হাতিদের জন্য নির্মিত বিশ্বের বৃহত্তম হাসপাতালও রয়েছে সেখানে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement