ছবি: সংগৃহীত।
৯ বছরের মেয়েটির প্রিয় পোষ্য ছিল সিডার। তার আপত্তি সত্ত্বেও জোর করে জবাই করা হয়েছিল সিডার নামের সেই ছাগলটিকে। দু’বছর ধরে মামলা চলার পর ১১ বছরের সেই বালিকাকে প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে বলল আদালত। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় ঘটেছে ঘটনাটি। নিউ ইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বালিকার মা জেসিকা লং-এর অভিযোগের ভিত্তিতে শাস্টা কাউন্টি শেরিফ অফিসকে এই ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অভিযোগকারীর দাবি ২০২২ সালে জোর করে গবাদি পশুর নিলামে চড়ানো হয় পোষ্য সিডারকে।
জেসিকা আদালতকে জানিয়েছেন, একট শিক্ষামূলক প্রকল্পের জন্য তাঁরা সিডারকে এনেছিলেন। সেই থেকে ছাগলটির দেখাশোনার ভার ৯ বছরের বালিকার উপর দেওয়া হয়েছিল। তাঁর মেয়ের কাছে সিডার পোষ্যের থেকেও বেশি বন্ধু হয়ে উঠেছিল। তাই নিলামের দিন ঘনিয়ে আসতেই তাকে না পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করে সে। একাধিক বার পুলিশ এবং আধিকারিকদের অনুরোধ করা হয় সিডারকে যেন নিলামে না পাঠানো হয়। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া মেলেনি। এমনকি সিডারকে বাঁচানোর জন্য লং পরিবার নিলামের ৭৬ হাজার টাকা দিয়ে দিতে প্রস্তুত ছিলেন।
কোনও অনুরোধ-উপরোধ কানে তোলেনি শাস্টা কাউন্টি শেরিফের দফতর। উল্টে লং পরিবারের উপর অপরাধ ও চুরির অভিযোগ আরোপ করা হবে বলে তাঁদের হুমকি দেয় শেরিফের দফতর। সিডারকে সুরক্ষিত রাখার জন্য ৩২০ কিলোমিটার দূরে সোনোমা কাউন্টির একটি খামারে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। তবুও বাঁচানো যায়নি সিডারকের। জোর করেই ছাগলটিকে জবাই করা হয়। পোষ্যের এমন পরিণতিতে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে বালিকা। তাঁর পর আদালতের দ্বারস্থ হন লং পরিবার। সেই মামলায় আড়াই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পাবে বালিকা এমনটাই জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।